সোমবার ১০ নভেম্বর ২০২৫, কার্তিক ২৫ ১৪৩২, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ব্রেকিং

মেহেরপুরে বিলে শাপলা তুলতে গিয়ে ৪ স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৯৫ পেঁয়াজের হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধি, আমদানির অনুমতি দিতে পারে সরকার সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ: এস আলমসহ ৬৭ জনের নামে মামলা ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী হতে চান উপদেষ্টা আসিফ মনোনয়ন: গাইবান্ধায় বিএনপির দু’পক্ষের উত্তেজনায় ১৪৪ ধারা হত্যাসহ ৫ মামলায় আইভীর জামিন ধান ৩৪, সেদ্ধ চাল ৫০, আতপ চাল ৪৯ টাকায় কিনবে সরকার নির্বাচন নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই: আইন উপদেষ্টা মোহাম্মদপুরে গ্যারেজের আগুনে ‘নাশকতা’ দেখছে পুলিশ ফিলিপাইনে ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন ফাং-ওং গাজা থেকে ফেরত আরেক জিম্মির মরদেহ শনাক্ত করলো ইসরাইল সারাদেশে প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শহীদ মিনারে অবস্থান ডিসি রদবদলে শুরু হল নির্বাচনি প্রশাসন সাজানো ছুটির দিনে ঢাকাসহ ১৫ জেলায় নতুন ডিসি শীতের আগমনী হাওয়া: পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা নামল ১৬ ডিগ্রির ঘরে ব্রাজিলে টর্নেডোতে নিহত ৬, আহত ৪৩৭ বলিভিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো পাজের দায়িত্ব গ্রহণ

জাতীয়

বঙ্গবন্ধু পরিবারের নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত

 প্রকাশিত: ১৮:৫২, ২৯ আগস্ট ২০২৪

বঙ্গবন্ধু পরিবারের নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত

‘বৈষম্যমূলক নীতি’ বিবেচনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তায় প্রণীত আইন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

এর ফলে বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং তাদের সন্তানদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার সুবিধাটি আর থাকছে না।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রস্তাবে বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের চতুর্থ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেন, “আমাদের এই সরকারটা হচ্ছে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের আউটকাম। নিরাপত্তা সংস্থা এরকম বিশেষ নিরাপত্তার দরকার আছে বলে মনে করে না। আর এটাকে বৈষম্যমূলক মনে করা হয়েছে, সেটার ভিত্তিতে এটা রহিত করা হয়েছে।”

নবম সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ২০০৯ সালে 'জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা বিল-২০০৯' (২০০৯ সালের ৬৩ নম্বর আইন) সংসদে সর্বসম্মতভাবে পাস হয়। ওই আইনের আওতায় জাতির পিতার পরিবারের জীবিত সদস্যদের জন্য আজীবন বিশেষ নিরাপত্তা সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।

এছাড়া এই পরিবারের সদস্যদের প্রত্যেকের জন্য নিরাপদ সুরক্ষিত আবাসনের ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথাও বলা হয় আইনে। ওই আইন অনুসারে ২০১৫ সালের মে মাসে বিশেষ নিরাপত্তা এবং সুবিধাদি প্রদানের গেজেট জারি করা হয়।

বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানান হয়েছে, কেবল একটি পরিবারের সদস্যদের রাষ্ট্রীয় বিশেষ সুবিধা প্রদানের জন্য আইনটি করা হয়েছিল, যা একটি ‘সুস্পষ্ট বৈষম্য’।

“বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সব বৈষম্য দূরীকরণে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়েছে।”

এর আগে ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার ছাড়ার আগে 'জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা বিল-২০০১ সংসদ পাস হয়েছিল। তবে বিএনপি নেতৃত্বে চার দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এসে অষ্টম সংসদে সেটি বাতিল করে দেয়।