বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১২ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পিকে হালদার ভারতে গ্রেপ্তার

 আপডেট: ১৬:৪০, ১৪ মে ২০২২

পিকে হালদার ভারতে গ্রেপ্তার

প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার ভারতে গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে খবর এসেছে। শনিবার সকালের দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা।

প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিকে হালদার। 

জানা গেছে, নাম বদলে ভারতে অবস্থান করছিলেন পিকে হালদার। দেশটির অর্থ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট-ইডি অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। একইসঙ্গে তার পাঁচ সহযোগীও ধরা পড়েছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ও দুদকের অনুরোধে ভারতের সংস্থা ইডি এই অভিযান চালায়। 

এর আগে শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগরসহ বেশ কিছু জায়গায় একযোগে অভিযান চালায় ইডি। এই অভিযানে তারা পিকে হালদারের অর্থ পাচারের বেশকিছু নথিপত্রসহ স্বপন মিত্র নামে একজনকে আটক করে। 

শুক্রবার অশোকনগরে সুকুমার মৃধা, তার মেয়েজামাই সঞ্জীব হাওলাদার, পিকে হালদারের আত্মীয় প্রণব কুমার হালদার, তার দুই ছেলের বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়।

সুকুমার মৃধা বাংলাদেশে পিকে হালদারের আইনজীবী ছিলেন। পিকে হালদার মামলায় মেয়ে অনিন্দিতা মৃধাসহ তাকে গত বছর গ্রেপ্তার করা হয়। তারা এখন কারাগারে।

অশোকনগরে মাছ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত সুকুমার পিকে হালদারের ঘনিষ্ট সহযোগী। তবে তিনি সেখানে নিজেকে পিকে হালদারের ক্লায়েন্ট হিসেবে পরিচয় দিতেন।

ইডির সূত্র বলছে, বাংলাদেশ থেকে পিকে হালদারের লুট করা টাকা দিয়ে বিপুল সম্পত্তি ক্রয়ে এই দুজনের দীর্ঘদিনের যোগসাজশ রয়েছে। অশোকনগরে একাধিক সম্পত্তি ক্রয় করেছে পিকে হালদার-সুকুমার মৃধা জুটি। 

পি কে হালদার নিজেকে শিবশংকর হালদার পরিচয় দিয়ে ভারতের বেশ কিছু সরকারি পরিচয়পত্র, যেমন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রেশন কার্ড, ভারতের ভোটার পরিচয়পত্র, আয়কর দপ্তরের পরিচয়পত্র পিএএন (প্যান), নাগরিকত্বের পরিচয়পত্র, আধার কার্ড ইত্যাদি পরিচয়পত্র জোগাড় করেছিলেন। পিকে হালদার ও তাঁর অন্য সহযোগীরা একই কাজ করেছিলেন বলেও জানিয়েছে ইডি।

এক বিবৃতিতে ইডি জানিয়েছে, এইসব পরিচয়পত্রের সাহায্যে ভারতে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে বেশ কিছু সংস্থা (কোম্পানি) পি কে হালদার ও তাঁর সহযোগীরা খুলেছিলেন। তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় জমিজমাও কিনেছিলেন। কলকাতার বিভিন্ন অভিজাত এলাকাতেও তাঁদের বেশ কিছু বাড়ি রয়েছে।

মন্তব্য করুন: