শুক্রবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, পৌষ ৫ ১৪৩২, ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

২০ কোটি টাকার বেশি সব ঋণ যাচাই করা হবে: গভর্নর ‘শত কোটি টাকার’ অনিয়ম: কামালের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিচ্ছে দুদক ২৭তম বিসিএস: ৬৭৩ জনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন সিঙ্গাপুরেই হাদির অস্ত্রোপচারের অনুমতি দিয়েছে পরিবার: ইনকিলাব মঞ্চ মেয়েকে নিয়ে ২৫ ডিসেম্বর সকালে ফিরছেন তারেক রহমান খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল: ডা. জাহিদ জেআইসিতে ‘গুম-নির্যাতন’: হাসিনা ও ১২ সেনা কর্মকর্তার বিচার শুরুর আদেশ হাদির জন্য এখন দোয়াই বেশি দরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি: ২০২৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক জোয়ার যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধে পর ভেনেজুয়েলার পাশে থাকার ঘোষণা চীনের হাজারীবাগের হোস্টেলে এনসিপির জান্নাতারা রুমীর মরদেহ ট্রাইব্যুনালে ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ভারতীয় ভিসা সেন্টারের নিয়মিত কার্যক্রম শুরু শিল্প শ্রমিকদের জন্য ‘প্রবাসী ফি` বাতিল করেছে সৌদি আরব ইউক্রেইন যুদ্ধ নিয়ে ‘আগামী সপ্তাহে মায়ামিতে বৈঠকে বসবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া’

জাতীয়

খুলনার কয়রায় হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে ঈদ জামাত!

 প্রকাশিত: ১০:৪২, ২৬ মে ২০২০

ভূমিতে মাথা ঠেকিয়ে সিজদাহ করবার স্থানটুকুও নেই। চারিদিকে পানি আর আর পানি। সুপার সাইক্লোন আম্ফানের প্রভাবে লন্ডভন্ড খুলনার উপকূলীয় উপজেলা কয়রা। চারিদিকে হাঁটু পানি। উপায়ান্ত না দেখে এই হাঁটু পানিতেই পড়তে হয়েছে ঈদ জামাত। সিজদা দিতে হয়েছে পানির উপরে।

লোনা পানি থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিন স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন হাজার হাজার মানুষ। প্রতিদিনের মতো আজ সোমবার ঈদের দিনও সদর ইউনিয়ের ২ নং কয়রা গ্রামের ক্লোজারে কোদাল হাতে বাঁধ মেরামতে হাজারও মানুষ অংশ নেন। কাজের মধ্যেই প্রায় ৫ হাজার মুসল্লী হাঁটু পানিতে ঈদের নামাজ আদায় করেন।


বেলা সাড়ে ১০টায় কয়রা উপজেলার ২নং কয়রা নদী ভাঙন পাড়ে এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

ঈদের নামাজে ইমামতি করেছেন কয়রার উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আ খ ম তমিজ উদ্দিন। নামাজ শেষে সেমাই খেয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ তৈরি করতে নামেন এলাকাবাসী। দুপুরে তাদের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল খিঁচুড়ির।

নামাজ শুরুর আগে কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম জনগণের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।

বক্তব্যে তিনি লণ্ডভণ্ড কয়রার দুর্বিসহ অবস্থা তুলে ধরেন এবং মজবুত বাঁধ নির্মাণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এছাড়া স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ বাঁধার কাজে অংশগ্রহণ করার জন্য এলাকাবাসীকে ধন্যবাদ জানান।

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার অন্যরকম এক ঈদ পালন করছি আমরা। সেচ্ছাশ্রমে বেড়ীবাঁধ নির্মানে এসে জোয়ারের পানি যখন হাঁটুপানি পর্যন্ত পৌছায় তখই শুরু হয় ঈদের নামাজ। প্রায় ৬ হাজার মানুষ নামাজে অংশগ্রহন করেন। আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে সবার জন্য ঈদের সেমায়ের ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া দুপুরে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে খিচুরির ব্যবস্থা করেছি।’

উল্লেখ্য, কয়রা পাউবোর ১৩/১৪-১ ও ১৩/১৪-২ নম্বর পোল্ডারের (চারদিকে নদীবেষ্টিত দ্বীপ অঞ্চল) অন্তর্ভুক্ত। এর পূর্ব পাশে সুন্দরবনের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে শাকবাড়িয়া নদী, দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে কপোতাক্ষ ও উত্তর পাশে রয়েছে কয়রা নদী।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে খুলনার ৯টি উপজেলার ৮৩ হাজার ৫৬০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে ক্ষতিতে পড়েছেন সাড়ে ৪ লাখ মানুষ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে কয়রা উপজেলা। সেখানে ৪০ কিলোমিটার বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ফলে ৮০ ভাগ এলাকাই প্লাবিত হয়ে পড়েছে। অসহায় হয়ে পড়েছেন প্রায় ৭ লাখ মানুষ।আম্পানের আঘাতে কয়রার চারটি ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২১ টি পয়েন্টে নদী ভাঙনের কারণে এসব এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ঝড় ও বন্যার কারণে কয়রা উপজেলার প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল লবণ পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বাঁধ ভেঙে জোয়ারের ছোটবড়ো ৫ হাজার মাছের ঘের ভেসে গেছে।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল