বুধবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ১৯ ১৪৩২, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

খালেদা জিয়া-তারেককে নিয়ে এভারকেয়ারের সামনে গুজবের ছড়াছড়ি তারেক এখনও ট্রাভেল পাস চাননি, জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ১২ কেজি এলপিজির দাম বাড়ল ৩৮ টাকা ৮ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট টঙ্গীতে দোয়া-মোনাজাতে শেষ হলো পাঁচ দিনের ‘জোড় ইজতেমা’ খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এভারকেয়ারে এসএসএফ খালেদা জিয়ার ‘ভিভিআইপি মর্যাদা’ কার্যকরের নির্দেশ সরকারের চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন খালেদা জিয়া, গুজবে কান দেবেন না: ডা. জাহিদ ভোটের প্রস্তুতিতে ‘সন্তুষ্ট’ ইইউ, পর্যবেক্ষণে থাকবে বড় দল: রাষ্ট্রদূত মিলার প্রগতি সরণি আটকে মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ শ্রীলঙ্কায় বন্যায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১০ জন ইউক্রেন চুক্তি নিয়ে ‘খুবই আশাবাদী’ হোয়াইট হাউস ট্রাম্পের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি চমৎকার : চিকিৎসক দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই আমাদের পরিবারের প্রেরণার উৎস: তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: সালাহউদ্দিন হিলি দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ মাদুরোর ‘অনেক অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন’ ট্রাম্প বন্যা কেড়ে নিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার অনেকের মাথা গোঁজার ঠাঁই সিরিয়ায় হস্তক্ষেপ না করতে ইসরাইলকে সতর্ক করলেন ট্রাম্প

অর্থনীতি

বাংলাদেশে বিদেশি ঋণ ছাড় ৪১৩ কোটি ডলার, পরিশোধের চাপ বাড়ছে

 প্রকাশিত: ১৭:০৪, ২৪ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশে বিদেশি ঋণ ছাড় ৪১৩ কোটি ডলার, পরিশোধের চাপ বাড়ছে

২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে বিদেশি ঋণ ছাড়ের পরিমাণ ৪১৩ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। তবে একই সময়ে ঋণের সুদাসল পরিশোধ করতে হয়েছে প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। অর্থবছরের শুরুতে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ঋণ ছাড়ের তুলনায় বেশি থাকলেও, ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঋণ ছাড় বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

বিদেশি ঋণের সবচেয়ে বড় অংশ এসেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছ থেকে, যা প্রায় ১১৩ কোটি ডলার। এছাড়া বিশ্বব্যাংক ৯৬ কোটি ডলার এবং জাপান ৭৩ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে। অন্যদিকে, আলোচ্য আট মাসে সরকারকে বিদেশি ঋণ বাবদ ২৬৪ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে, যার মধ্যে ১৬৯ কোটি ডলার মূল ঋণ এবং ৯৫ কোটি ডলার সুদ হিসেবে পরিশোধ করা হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে ২০৩ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছিল, অর্থাৎ এক বছরে ৬১ কোটি ডলার বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে।

বিদেশি ঋণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে উন্নয়ন সহযোগীরা ৭২০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি দিলেও, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে এই প্রতিশ্রুতি কমে ২৩৫ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। বিশেষ করে চীন, ভারত ও রাশিয়ার মতো দেশগুলো এবার কোনো ঋণ প্রতিশ্রুতি দেয়নি।

গত কয়েক বছরে ঋণ পরিশোধের চাপ ক্রমাগত বাড়ছে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশকে ৩৩৬ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে, যা এক দশকে তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভরতা যেমন বাড়ছে, তেমনি ঋণ পরিশোধের চাপও সরকারের জন্য ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে।