আল্লাহর আইন ও সৎ শাসক ছাড়া দারিদ্র্য নিরসন সম্ভব নয়: জামায়াত নেতা রেজাউল

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, গত ৫৪ বছরে বাংলাদেশে যেভাবে দুর্নীতি হয়েছে, তা যদি রোধ করা যেত, তাহলে বাংলাদেশ অল্প সময়ের মধ্যে ইউরোপ, আমেরিকা কিংবা সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হতে পারত। তিনি বলেন, “দেশে দুর্নীতি যতদিন চলবে, ততদিন স্বনির্ভরতা ও প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়।”
শুক্রবার (৪ জুলাই) রাজধানীর তুরাগের স্থানীয় একটি মিলনায়তনে তুরাগ মধ্য থানা জামায়াত আয়োজিত '১৯ জুলাই জাতীয় সমাবেশ' সফল করার লক্ষ্যে ইউনিট প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন তুরাগ থানা জামায়াতের আমীর গাজী মনির হোসাইন। যৌথভাবে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন নায়েবে আমীর কামরুল হাসান ও থানা সেক্রেটারি মুহিবুল্লাহ বাচ্চু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ আশরাফুল হক ও সাইদুর রহমান মোল্লা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ৫৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী সুরুজ্জামান, জুলফিকার আলী, মুজিবুর রহমান, মাওলানা ওয়ারেস আলী মুরাদ, আবু তাহের মিয়াজি, ইঞ্জিনিয়ার দেলোয়ার হোসাইন, সাখাওয়াত হোসাইন ও জিয়াউর রহমান।
ড. রেজাউল করিম তার বক্তব্যে বলেন, “আল্লাহর আইন, সৎ লোকের শাসন এবং সুশাসন নিশ্চিত করা হলে শতভাগ দারিদ্র্য বিমোচন, বেকারত্ব দূরীকরণ এবং কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব। কিন্তু বর্তমানে মানব রচিত মতবাদ দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হওয়ায় গণমানুষের অধিকার ও সুশাসন নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। বরং দিন দিন বেকারত্ব ও দারিদ্র্য লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।”
তিনি বলেন, “দেশকে আত্মনির্ভরশীল ও দারিদ্র্যমুক্ত করতে হলে আল্লাহর আইন এবং সৎ লোকের শাসনের কোনো বিকল্প নেই।” তিনি ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় জামায়াতের পতাকাতলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
১৯ জুলাইয়ের জাতীয় সমাবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেশের মানুষ আল্লাহর আইন ও সৎ শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আজ ঐক্যবদ্ধ। তাই ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এই সমাবেশকে সফল করতে হবে। প্রতিটি পাড়া-মহল্লায়, ঘরে ঘরে ইসলামের সুমহান দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “জনতার নেতা, জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমানের ঘোষিত সাত দফা এখন জনমানুষের দাবিতে পরিণত হয়েছে। এই সাত দফা আদায়ে সবাইকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
সম্মেলনের শেষে 'জুলাই বিপ্লবের শহীদদের' রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয় এবং দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।