রোজা ও রমজান: পর্ব-২৭ বিষয়: সিয়াম রোগ জীবানু ধ্বংস করে
মুফতি মুহাম্মদ নাসিরুদ্দীন
আপডেট: ১৪:৩৯, ১৭ এপ্রিল ২০২৩
ডক্টর এমারসন বলেছেন, যদি কারো স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য উপবাসের প্রয়োজন দেখা দেয়, তবে সে যেন ইসলামের নির্দেশিত সিয়াম পালন করে। ডায়াবেটিক রোগীর জন্য সিয়াম পালন করা একটি পরীক্ষিত মহৌষধ। দিল্লীর একজন বিখ্যাত চক্ষু চিকিৎসক বলেছেন, এক মাসের সিয়াম পালনের দ্বারা চক্ষুর ভেতরের অসংখ্য সূক্ষ নার্ভ সতেজ হয়ে উঠে এবং দৃষ্টিশক্তিকে প্রখর করে তোলে। আর বাত রোগের বিশেষ উপকার হয়।
বিগত ২০০৩ সালের কিছু দিন আগে লন্ডনে এক বিশ্বস্বাস্থ্য সেমিনারে সিয়াম পালনের উপর আলোচনা করে মার্কিন মুল্লুকের এক খ্যাতনামা চিকিৎসক বলেছেন; ‘মুসলমানদের এক মাসের উপবাস বা সিয়াম মানবদেহে এন্টিবায়োটিকের মতো এক বিরাট শক্তি সৃষ্টি করে, অর্থাৎ ‘সিয়াম মানবদেহে এন্টিবায়োটিক মেডিসিন এর মতো কাজ করে। যা মানবদেহের অন্তত ৬০ হাজার রোগ জীবানু ধ্বংস করতে সক্ষম হয়।
সিলেট মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডক্টর গোলাম মুয়াজ্জম লন্ডনের হাসপাতালে বেশ কয়েকজন রোগীর উপর পরীক্ষা করে প্রমাণ করেছেন যে, রমযানের সিয়াম পালনে দেহের অর্ধেক রোগের প্রতিষেধক তৈরী হয়। মোহনলাল করমচাঁদ গান্ধী নিজের উপর পরীক্ষা করে অভিমত প্রকাশ করেছেন যে, ইসলামি বিধানের সিয়াম পালনে মানবদেহে অলৌকিক শক্তির সঞ্চার হয় এবং রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা তৈরী হয়। (ইফা কর্তৃক প্রকাশিত, সিয়াম ও রমযান, পৃ. ১৫৪; প্রকাশনা ২১৩৩/৪, প্রথম প্রকাশ নভেম্বর ২০০৩)
মুফতি মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন
সাতাউক মধ্যগ্রাম, লাখাই, হবিগঞ্জ
আমলের কথা জানতে ইউটিউবে সার্চ করুন, 01712961470
মন্তব্য করুন: