জুলাইয়ের মধ্যভাগে আলোচনায় ফল আসবে আশা আলী রীয়াজের

ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আশা প্রকাশ করেছেন, চলতি জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় একটি সুস্পষ্ট অবস্থানে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের অষ্টম দিনের বৈঠকের শুরুতে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আলী রীয়াজ বলেন, “আমি আশাবাদী, আমরা একটা জায়গায় পৌঁছাতে পারব। জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই আলোচনায় একটা গ্রহণযোগ্য অবস্থান তৈরি হবে বলে মনে করি।”
আজকের আলোচনায় মূলত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু উঠে এসেছে—সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের বিধান।
এই বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলনসহ মোট ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। বৈঠকের শুরুতেই জুলাই শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এক বছর আগে অনুষ্ঠিত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, “এক বছর আগে আমরা সবাই মিলে রাস্তায় নেমেছিলাম স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে। আজ রাষ্ট্রকাঠামোর পরিবর্তনের লক্ষ্যে আলোচনায় একত্র হয়েছি, যেন একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠন করা যায়, যেখানে গুম-খুন কিংবা বিচারবহির্ভূত হত্যার আশঙ্কা থাকবে না।”
তিনি আরও বলেন, “এই যে স্বৈরাচার পতনের সাফল্য—এটি যেন একটি এককালীন ঘটনা না হয়। বরং এটি যেন দীর্ঘমেয়াদে গণতান্ত্রিক কাঠামো নির্মাণের ভিত্তি হয়। এজন্য দরকার কাঠামোগত সংস্কার এবং দলগুলোর আন্তরিক সহযোগিতা।”
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ইফতেখারুজ্জামান এবং মো. আইয়ুব মিয়া। আলোচনার সঞ্চালনায় ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
আলী রীয়াজ আলোচনা প্রসঙ্গে বলেন, “কখনো আমরা অগ্রসর হই, কখনো কিছুটা থেমে যাই। কিন্তু সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে আমরা অবশ্যই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।”