চীন, সৌদি ও ইউএই থেকে ১.১০ লাখ টন সার আমদানির অনুমোদন

দেশের কৃষিখাতে উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে সরকার নতুন করে প্রায় ৮৫০ কোটি টাকায় এক লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সারের মধ্যে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া এবং ৮০ হাজার টন ডিএপি (ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) রয়েছে, যা চীন, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় কেনা হবে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। শিল্প মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের তিনটি আলাদা প্রস্তাবের ভিত্তিতে সার আমদানির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই চালান বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ১৫ লাখ ৬৫ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪১ কোটি ৯ লাখ টাকা। প্রতি টন ইউরিয়ার দর নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৮৫.৫০ মার্কিন ডলার।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চীনের সঙ্গে গত ১০ জানুয়ারি একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। সেই চুক্তির আওতায় প্রথম লটে ৪০ হাজার টন (+১০%) ডিএপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ২ কোটি ৯১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৫৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। প্রতি টন ডিএপি সারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭২৯.২৫ মার্কিন ডলার।
একই বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আরও একটি প্রস্তাবের আলোকে, সৌদি আরব থেকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির ভিত্তিতে আরও ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির অনুমোদনও দেওয়া হয়। এই চালানের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৮৬ লাখ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৫১ কোটি ২০ লাখ টাকা। প্রতি টন ডিএপি সারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭১৫ ডলার।
তিনটি উৎস থেকে এই সার আমদানিতে সরকারের মোট ব্যয় হবে ৮৫০ কোটি ৫০ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। কৃষি খাতের অব্যাহত চাহিদা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দামের ওঠানামার প্রেক্ষাপটে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।