পাইলটকে সতর্ক করে দুর্ঘটনা এড়ালেন জাহিদুল, পেলেন বেবিচকের সম্মাননা

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) অধীন কক্সবাজার বিমানবন্দরে কর্মরত এরোড্রামা কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলামকে পেশাগত নিষ্ঠা, তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও নিরাপত্তা সচেতনতায় অসাধারণ ভূমিকার জন্য বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
২ জুলাই (বুধবার) বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূইয়া আনুষ্ঠানিকভাবে এ সম্মাননা তুলে দেন। বেবিচকের মতে, জাহিদুলের দক্ষতা ও সাহসিকতা দেশের বিমান চলাচল নিরাপত্তা ব্যবস্থায় একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
সম্প্রতি কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট— বিবিসি-৪৩৬ (রেজি. এস২-এজেডব্লিউ)— উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই পেছনের একটি চাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। ঘটনাটি অতীব ঝুঁকিপূর্ণ হলেও, কর্তব্যরত এরোড্রামা কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাটি লক্ষ্য করেন।
তিনি শুধু ঘটনাটি শনাক্ত করেই থেমে থাকেননি, দ্রুততার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাইলটকে সতর্ক করেন। একই সময় কাছাকাছি অবস্থানে থাকা অপর একটি ফ্লাইট— ইউনিজি-১৪৮ (এস২-এজেডব্লিউ)-এর সঙ্গে সমন্বয় করে তিনি নিশ্চিত করেন যে বিচ্ছিন্ন চাকা বিবিসি-৪৩৬-এরই। এরপর জরুরি নিরাপত্তা প্রটোকল অনুসরণ করে ফ্লাইটটি নিরাপদে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের টাওয়ার কন্ট্রোলে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করেন।
বেবিচক মনে করে, এই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা ও কৌশলী সিদ্ধান্ত না নিলে একটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। মো. জাহিদুল ইসলামের পেশাগত নিষ্ঠা, দায়িত্বশীলতা ও নিরাপত্তা সচেতনতা বিমান পরিবহন ব্যবস্থার প্রতি যাত্রী ও জনগণের আস্থা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
এই ঘটনার মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়েছে, শুধুমাত্র যন্ত্র বা প্রযুক্তি নয়, মানবিক সতর্কতাও নিরাপত্তা নিশ্চিতে কতটা কার্যকর হতে পারে।