বুধবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, পৌষ ৯ ১৪৩২, ০৪ রজব ১৪৪৭

ব্রেকিং

নোয়াখালীতে ‘দুদল সন্ত্রাসীর’ মধ্যে সংঘর্ষে ৫ জন নিহত প্রশাসন ও পুলিশের আশ্বাসে ‘বুকের জোর বেড়েছে’ সিইসির কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাসের বাইরে হিন্দুত্ববাদীদের বিক্ষোভ-সংঘর্ষ দিল্লি-আগরতলা-শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের ভিসা সাময়িক বন্ধ: মুখপাত্র ইনকিলাব মঞ্চের শহীদী শপথ, হত্যার বিচার ছাড়া রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণা টিএফআই’তে গুম-নির্যাতন: হাসিনা, কামাল ও ১৫ সেনা কর্মকর্তার বিচার শুরুর আদেশ তারেক আসছেন, শাহজালালে ২৪ ঘণ্টা দর্শনার্থী নিষিদ্ধ আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলা বিচারের জন্য গেল জজ আদালতে জমিয়তে উলামায়ের সঙ্গে ৪ আসনে সমঝোতা বিএনপির মাদুরোর পদত্যাগই হবে ‘বুদ্ধিমানের কাজ’: ট্রাম্প খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলির ঘটনায় সেই নারী আটক ভেনেজুয়েলার জাহাজ জব্দ: যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনায় চীন

প্রযুক্তি

এআই কি মানবজাতির জন্য ধ্বংসের কারণ হয়ে উঠবে?

ওএনপি২৪ নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: ১৪:৫৮, ৯ এপ্রিল ২০২৫

এআই কি মানবজাতির জন্য ধ্বংসের কারণ হয়ে উঠবে?

অবিলম্বে বৈশ্বিক তদারকি না হলে এআই হয়ে উঠতে পারে মানবজাতির জন্য হুমকি – ডিপমাইন্ড সিইও

ধীরে ধীরে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই। এই প্রযুক্তি এখন মানুষের মতো চিন্তা করার মতো সক্ষমতা অর্জনের পথে রয়েছে বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। ফলে প্রশ্ন উঠছে—এই প্রযুক্তির অগ্রগতি মানবজাতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে কি না।

মানবসদৃশ বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে বলা হয় আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স (এজিআই)। গুগল ডিপমাইন্ডের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের আগেই এমন ধরনের এআই তৈরি হতে পারে, যার বুদ্ধিমত্তা মানুষের সমান হবে। গবেষণায় বলা হয়, এজিআই প্রযুক্তি যেমন অগাধ সম্ভাবনা নিয়ে আসবে, তেমনি এর ভুল ব্যবহারে মানবজাতির অস্তিত্বও হুমকির মুখে পড়তে পারে।

গবেষণাটিতে এজিআইয়ের ঝুঁকিকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে—অপব্যবহার, ভুল প্রয়োগ, ভুল সিদ্ধান্ত এবং কাঠামোগত দুর্বলতা। যদিও সম্ভাব্য বিপদের দিকগুলো ব্যাখ্যা করা হয়েছে, ঠিক কীভাবে এজিআই মানবসভ্যতাকে ধ্বংস করতে পারে, তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি।

এআই নিয়ে ভবিষ্যৎ ঝুঁকি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তদারকি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তার কথাও উঠে এসেছে। ডিপমাইন্ডের প্রধান নির্বাহী ডেমিস হাসাবিস জানিয়েছেন, জাতিসংঘের আদলে একটি বৈশ্বিক সংস্থা গঠন করে এআই প্রযুক্তির বিকাশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেও ডেমিস হাসাবিস তাঁর শঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন এবং বলেন, আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যেই এজিআই বাস্তব রূপ নিতে পারে।