বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ৫ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

স্পেশাল

করোনা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে মাস্ক-হ্যান্ড গ্লাভসে

 প্রকাশিত: ১০:১৮, ২৮ এপ্রিল ২০২০

করোনা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে মাস্ক-হ্যান্ড গ্লাভসে

ছবি: সংগ্রহীত

ব্যবহৃত মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেউ কেউ করোনাভাইরাস থেকে রক্ষার জন্য যে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করছে সেটি রাস্তার ফুটপাতেই ফেলে দিচ্ছেন। রাজধানীর আজিমপুর, নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, সিটি কলেজ, ঝিগাতলা, ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বা রাস্তার পাশে ও ফুটপাতে ছড়ানো ছিটানো রয়েছে শত শত ব্যবহৃত মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস। যা পথচারী বা সাধারণ মানুষের জন্য সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।

করোনা মোকাবিলায় জনগণকে নিরাপদে রাখার জন্য সরকার এরইমধ্যে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, নগরবাসীকে নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। তেমন কোনো জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের না হওয়ার কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রথম দিকে মাস্ক ও স্যানিটাইজেশনসহ অনেক জিনিসের দাম কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয় অসাধু চক্র। প্রশাসনের তদারকিতে এখন তা নিয়ন্ত্রণে। মূল্য ফের নাগালের মধ্যে আসায় নগরবাসী ঘর থেকে বের হলে ব্যবহার করছেন সুরক্ষা সামগ্রী। অন্যদিকে নগরের নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে এসব মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস বিতরণ করছেন বিভিন্ন ব্যক্তি ও সামাজিক সংগঠনগুলো।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি  মোকাবিলায় সরকার সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। খেটে খাওয়া, অসহায়, দিনমজুরসহ সাধারণ মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকবে।

করোনাভাইরাস সামাল দিতে যেখানে বিশ্বের অনেক দেশ নিরুপায়, সেখানে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি অনেকটা ভালো। তারপরও নিরাপদে ও সর্তক থাকার কোনো বিকল্প নেই। এ কারণে অনেকে ব্যবহার করছেন মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস। কিন্তু ব্যবহার নিশ্চিত হলেও নিশ্চিত হচ্ছে না ব্যবহৃত এসব সামগ্রীর নিরাপদ নিষ্পত্তি।

মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভসসহ অন্যান্য সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহারের পর তা সতর্কতার সঙ্গে নির্দিষ্ট স্থানে বা ময়লার ঝুড়িতে না ফেলে রাস্তায় ফেলে যাচ্ছেন অনেকেই। যা থেকে সংক্রমণ হওয়া ঝুঁকি রয়েছে। কারণ এক শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ পেটের তাগিদে এখনো রাস্তায় অবস্থান করছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসপত্র থেকে ভাইরাসটি অন্যদের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে। নগরবাসীর মতে, অসচেতনভাবে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ফেলে রাখার প্রবণতা ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়িয়ে যেতে পারে।

রিকশাচালক কালাম মিয়া। বাড়ি বরিশাল। তিনি আজিমপুর থেকে শুরু করে ধানমন্ডির মধ্যে রিকশা চালান। তার মাস্কটি ছিড়ে গেলে রাস্তায় ফেলে চলে যাচ্ছিলেন। তাকে ডেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামা ছিড়ে গেছে তাই ফেলে দিলাম। এটা তো আর কোনো কাজে লাগবে না। কিন্তু এটার ঝুঁকি সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই।

পথচারী নাজিম হোসেন ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন্য যেসব জিনিস ব্যবহার করা হয়, এসবের অনেক কিছুই রাস্তার বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকে দেখা যায়। যারা এসব ফেলছেন, তারা কেউ জানে না, এগুলোর মাধ্যমে অন্য কেউ আক্রান্ত হতে পারেন। এটা আমাদের জন্য খুবই ঝুঁকি। শুধু রাস্তায় ও  ফুটপাতেই নয়, ব্যবহারের পর এসব মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস পয়ঃনিষ্কাশন খালেও ফেলা হচ্ছে।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: