শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫, আষাঢ় ৭ ১৪৩২, ২৩ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

ব্রেকিং

তেহরানে ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার চলছেই, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৫০ ইরানে বাংলাদেশিদের সহায়তায় হটলাইন চালু উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভ: সিলেটে তিনজন কারাগারে ইসরায়েলের টার্গেটে ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার ভবন লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ১৩ জুন তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন: ফখরুল রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হবে কাঁচের মতো স্বচ্ছ ঘর: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাচনের ঘোষিত সময় মাথায় রেখে যথাসময়ে রোডম্যাপ দেবে ইসি: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ছাত্রদল নেতা নাছির উদ্দিন মণিপুরে আবার উত্তেজনা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের চাপে ঢাকার ৪ থানায় সক্রিয় অর্ধশতাধিক অপরাধী দল জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে: প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি: সালাহউদ্দিন আহমদ জুলাই সনদ–ঘোষণাপত্র হলে ঘোষিত সময়ে নির্বাচনে আপত্তি নেই: এনসিপি ২৫ কিলোমিটার যানজট, ২৪ ঘণ্টায় পারাপার ৬৪ হাজার যানবাহন বান্দরবানের রুমা ও থানচি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আংশিকভাবে প্রত্যাহার গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো, জাতিসংঘ নিরাপত্তা গরম মসলার বাজার শীতল: ক্রেতা কমে যাচ্ছে, দাম কিছুটা স্থিতিশীল ঈদে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দই-মিষ্টি মজুত, রংপুরে হিমাগারে অভিযান ও দুই লাখ টাকা জরিমানা বান্দরবানের লামায় পাহাড় ধসের শঙ্কায় ৬০ রিসোর্ট বন্ধ নির্বাচন নিয়ে তরুণদের প্রতি অসত্য অভিযোগ ও বাস্তবতা ভারতের মুসলমানদের কেন বারবার দেশপ্রেমের প্রমাণ দিতে হয় সংবিধান পরিবর্তন ছাড়া ফ্যাসিবাদ বিলোপ সম্ভব নয়: এনসিপি মুখ্য সমন্বয়ক একুশের বন্ধুত্বে আগামীর পথচলা: বার্ষিক সম্মেলনে ২১তম বিসিএস প্রশাসন ফোরাম বিজিএমইএ`র নতুন নেতৃত্বে আসছেন বাবু, নিরঙ্কুশ জয়ের ইঙ্গিত জিলহজ মাসের আমল ও কোরবানির তাৎপর্য চট্টগ্রামে নারীকে লাথির ঘটনায় ভাইরাল আকাশ চৌধুরী বহিষ্কৃত, জামায়াতের বিবৃতি সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেই, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিল পবিস শ্রমিকরা আনচেলত্তির স্বপ্ন - রিয়াল মাদ্রিদের মতো করে খেলাবেন ব্রাজিলকে ডিমের দাম এখনো চড়া, ডজন ১৩০–১৪০ টাকায় বিক্রি বৈরী আবহাওয়ার কারণে নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপের সঙ্গে সারাদেশের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ হারের পর লিটনের মনোভাব - এখনো দুই ম্যাচ বাকি কাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব জুয়েলারি দোকান বন্ধ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করবে ডিএনএ টেস্ট করে নামফলক ও মর্যাদা চায় শহীদ পরিবারের সদস্যরা বেতন না পেয়ে ডাকাতি, জাহাজের চিফ ইঞ্জিনিয়ারসহ তিনজন আটক “বাংলাদেশে কৌশলগত স্বার্থ নেই দক্ষিণ কোরিয়ার”—রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক “শাপলার হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই”—হেফাজতের বিবৃতি মির্জা আব্বাস: “করিডর আর স্টারলিংক আনা হচ্ছে আরাকান আর্মির জন্য” জিলহজ মাসের চাঁদ দেখে যে দোয়া পড়বেন নির্বাচনের আগে যতটুকু দরকার, ততটুকুই সংস্কার করতে হবে: মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ‘চিন্তার স্বাধীনতাও হারাচ্ছি?’— নারী কমিশন বিতর্কে গীতিআরার উদ্বেগ ইউক্রেনে রাশিয়ার টানা হামলায় নিহত ১২, কঠোর চাপের আহ্বান জানালেন জেলেনস্কি সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন – তিনটি কঠিন দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট আমরা জুলাই অভ্যুত্থান ক্ষমতার পালাবদল নয়, এটি মৌলিক সংস্কার: নাহিদ হলুদ সাংবাদিকতা’ বিরোধী স্লোগানে উত্তাল শিক্ষক মিছিল ভারতের নিষেধাজ্ঞায় আখাউড়া বন্দর দিয়ে রপ্তানি কমেছে ৪০% বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলছে, দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি জাতীয় স্বার্থে অভিমান ভুলে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান : জামায়াত আমির আন্দোলনের পর অবশেষে নিয়োগ পেলেন ৪৩তম বিসিএসের বাদ পড়া ১৬২ জন নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে ইসির সামনে এনসিপির বিক্ষোভ কাল বাংলাদেশে স্টারলিংকের যাত্রা, স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের নতুন যুগ শুরু নরওয়ের দৃঢ় সমর্থন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বিগত সরকারের সময় প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত, এমন অবস্থা ছিল যে খতিবকেও পালাতে হয়েছিল: বাণিজ্য উপদেষ্টা গায়ের জোরে নগর ভবন দখল করে আন্দোলন চালাচ্ছে বিএনপি আবারও রাজপথে নামার ইঙ্গিত আসিফের, সতর্ক করলেন হাসনাত গোপন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন স্থগিত, ২০ মে আলোচনায় বসবে ঐক্য পরিষদ ভারতের আমদানি নিষেধাজ্ঞা সীমান্ত বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে ভারতের নতুন সিদ্ধান্তে উত্তর-পূর্বাঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশি ভোগ্যপণ্য আমদানি বন্ধ গত ৯ মাসে জুলাই-যোদ্ধাদের ওপর ৩৮টি হামলা জবি’র ৪ দফা দাবি মেনে নেওয়ায় আন্দোলনের সমাপ্তি ঘোষণা ডিবি থেকে মুক্তির পর আন্দোলনে উল্লাস জবি শিক্ষার্থীর গাজা দখলে নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা পুনর্ব্যক্ত করলেন ট্রাম্প শাহরিয়ার হত্যাকাণ্ডে বিচার নিশ্চিতের অঙ্গীকার উপদেষ্টা আসিফের সোনার দাম ভরিতে কমল ৩ হাজার ৪৫২ টাকা, নতুন দর কার্যকর শুক্রবার থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: নিরাপত্তা নিশ্চিতে বড় পদক্ষেপ প্রশাসনের আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধে ভারতের উদ্বেগ শ্রীনগরজুড়ে বিস্ফোরণ, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওমর আব্দুল্লাহর উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত: আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ ‘চলবে’, শনিবার গণজমায়েত ড্রোন যুদ্ধ: ভারত-পাকিস্তান বিরোধের নতুন অধ্যায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সরকার গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আ.লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ ছাড়বেন না আন্দোলনকারীরা ‘আপ বাংলাদেশ’–এর আত্মপ্রকাশ পূর্বঘোষণা ছাড়া ভারত সফরে সৌদি প্রতিমন্ত্রী, পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনায় কূটনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে সারা দেশ থেকে ঢাকা অভিমুখে মার্চের হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের দেশীয় ওষুধ কোম্পানি রেনাটাকে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে আইএফসি তারেক রহমান: সরকার হয়তো স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগে সহায়তা করছে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতের নির্দেশে ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল ইউটিউবে বন্ধ

স্পেশাল

শহীদ অন্তর ইসলাম : এক বৃক্ষপ্রেমী তরুণের গল্প

 প্রকাশিত: ১১:৩৮, ৫ মে ২০২৫

শহীদ অন্তর ইসলাম : এক বৃক্ষপ্রেমী তরুণের গল্প

সেদিন ছিল ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট। বিজয়ের মিছিল এগিয়ে যাচ্ছিল শফিপুর আনসার একাডেমির দিকে। রাজধানীজুড়ে তখন উৎসবমুখর জনতা, সবার  চোখে বৈষম্যমুক্তির দুর্নিবার স্বপ্ন আর হৃদয়ে স্বৈরাচার পতনের অনিন্দ্য আনন্দ। এই উৎফুল্ল জনতার অংশ ছিলেন অন্তর। আগের দিন গায়ে গুলি লেগেছে।

অসুস্থ শরীর। তবু দমে যাননি তিনি। ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের বিজয়ের মিছিলে ছিলেন সামনের সারিতে।

কিন্তু সেই দিনটিই হয়ে উঠল তার বিদায়ের দিন। পুলিশের গুলিতে মুখ ও মাথায় ক্ষতবিক্ষত ও রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। যে তরুণ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন, তিনি সেদিন শহীদ হলেন রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের এক নির্মম সাক্ষ্য হয়ে।

সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী গ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ অন্তর ইসলামের বাড়িতে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসস-এর প্রতিবেদকের কথা হয় অন্তর ইসলামের মা জয়নব খাতুনের সঙ্গে।

অন্তর ইসলামের মা বলেন, 'অন্তর গাছ লাগাতে ভালোবাসত। গাছ লাগানো ছিল তার নেশা। কোনোভাবে তার হাতে টাকা এলেই সে গাছ কিনে এনে বাড়ির আঙিনায় লাগাত। মাত্র তিন শতাংশ জায়গার ওপর বাড়ি। অথচ এমন কোনো ফলের গাছ নেই, যা বাড়ির আঙিনায় নেই। শুধু নিজের বাড়িতে নয়, বোনের বাড়ি বেড়াতে গেলেও সে বাজার থেকে বিভিন্ন জাতের গাছ কিনে কিনে রোপণ করত।'

জয়নব খাতুন বাড়ির আঙিনায় অন্তরের নিজ হাতে লাগানো আম গাছ, লেবু গাছ দেখিয়ে বলেন, 'দেখো, ওর লাগানো আম গাছে কত আম ধরেছে! লেবু গাছে কত লেবু! কিন্তু এই আম অন্তর আর খেতে পারবে না। বাড়িতে আর জায়গা নেই, তাই ওকে গাছ লাগাতে নিষেধ করতাম। ও শুনত না। আজ এই গাছগুলোর দিকে তাকালেই ওর কথা মনে পড়ে। মনে হয়, এই গাছের সবুজে মিশে আছে আমার অন্তরের আত্ম।'

এ সময় অন্তরের দুলাভাই সাজ্জাদুল হক তপু বলেন, 'ও আমার শ্যালক হলেও আমি অন্তরকে কখনোই শ্যালকের চোখে দেখতাম না, নিজের  সন্তানের মতো দেখতাম ওকে। ওর যত আবদার, চাওয়া-পাওয়া সবই ছিল আমার কাছে।'

তিনি বলেন, 'সময় পেলেই আমার বাড়িতে চলে যেত। কোথাও কোনো গাছ পছন্দ হলেই বলত, ‘দুলাভাই, ওই গাছটা কিনতে হবে।’ আমাদের বাড়িতে সব ধরনের ফলগাছ রয়েছে—সবগুলোই অন্তররের হাতে লাগানো। ওকে যে এইভাবে হারাতে হবে, কখনো কল্পনাও করিনি।'

শহীদ মো. অন্তর ইসলাম সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী হাট ইউনিয়নের কৈজুরী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ২০০২ সালের ২ জানুয়ারি। বাবা মো. আব্দুল হক (৬৫) ও মা মোছাম্মৎ জয়নব খাতুন (৬০)। দুই ভাই ও চার বোনের মধ্যে অন্তর ছিলেন সবার ছোট। বড় ভাই আলাদা থাকেন এবং বোনদের বিয়ে হয়ে গেছে। অন্তর নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবার চালানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করতেন।

২০০৭ সালের বন্যায় তাদের বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পরে অনেক কষ্টে তিন শতাংশ জমি কিনে নতুন বাড়ি তৈরি করে বসবাস করত তাদের পরিবার। অন্তরদের কোনো কৃষিজমি নেই। বাবা আগে ছোটখাটো ব্যবসা করতেন, কিন্তু অসুস্থতার কারণে এখন কোনো আয় নেই। একমাত্র আয়ের উৎস ছিলেন অন্তর ইসলাম। তাকে হারিয়ে পরিবারটি এখন অসহায়।

শাহজাদপুর সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। পরিবারের খরচ চালানোর জন্য অন্তর গাজীপুরের শফিপুরে অ্যাপেক্স কোম্পানিতে চাকরি করতেন। গাজীপুর থেকে পরীক্ষার সময় এসে পরীক্ষা দিয়ে আবার ফিরে যেতেন। পরিবারের খরচ ও নিজের পড়াশোনার খরচ তিনিই চালাতেন।

শহীদ অন্তরের মা জয়নব খাতুন বলেন, 'ছেলে আমার টাকার অভাবে পড়াশোনা বন্ধ করে নাই। নিজে উপার্জন করে পড়াশোনার খরচ ও পরিবার চালিয়েছে। ওর ইচ্ছা ছিল পড়াশোনা শেষ করে ভালো একটা চাকরি পেলে পরিবারের দুঃখ ঘোচাবে। আমাকে বলত, ‘আম্মু, আর দুইটা বছর কষ্ট করো, তারপর আমি চাকরি পেলে তোমাদের আর কষ্ট থাকবে না।’ এখন আমাদের ওষুধ কে কিনে দেবে, ওরবাবার ওষুধ কে কিনে দেবে?'

ছেলের হত্যার বিচার চেয়ে তিনি বলেন, 'সরকারের কাছে আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই। আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে, তাদের কঠিন শাস্তি চাই। এই পরিবারের উপার্জনের আর কেউ নেই। যাতে ওর বাবা আর আমি কোনোভাবে খেয়েুপরে বাঁচতে পারি, সরকার যেন সেই ব্যবস্থা করে।'

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের ডাকে দেশের ছাত্রুজনতা রাজপথে নামে। উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকাসহ পুরো দেশ। সেই আন্দোলনে অংশ নেন অন্তর ইসলাম।

২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে আহত হন শহীদ অন্তর। ৫ আগস্ট, যখন জনগণের চূড়ান্ত বিজয় ঘটে, সেদিন অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও বিজয় মিছিলে অংশগ্রহণ করেন অন্তর ইসলাম।

বিজয় মিছিল শফিপুর আনসার একাডেমির দিকে অগ্রসর হতে থাকলে পুলিশ বাহিনী বিজয় মিছিলে গুলি চালায়। এ সময় একটি গুলি চোখের ভিতর দিয়ে ঢুকে পেছন দিয়ে বের হয়ে যায় এবং অন্যটি কপাল দিয়ে ঢুকে মাথার পেছন দিয়ে বের হয়। সাথে সাথেই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

প্রথমে তার লাশের কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা খুঁজে বের করে তাকে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সেইদিনই রাত ২টা ৩০ মিনিটে অন্তরের লাশ গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়।  পরের দিন ৬ আগস্ট সকাল ৯ টায় কৈজুরী মাদ্রসা মাঠে জানাজা নামাজ শেষে কৈজুরী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। 

 আগস্ট সকাল অন্তর ইসলাম আজ আর নেই। কিন্তু তার লাগানো প্রতিটি গাছ, গাছের প্রতিটি পাতায়, ডালে ডালে যে জীবন তিনি বুনে গেছেন, তা আজও তার অস্তিত্বের সজীব স্মারক হয়ে নীরবে গেয়ে যায় জীবনের গান- অবিরাম।