বরগুনার তালতলীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৪, চারজন বরিশালে রেফার

তালতলীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৪
বরগুনার তালতলী উপজেলায় চাঁদাবাজির অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় বরিশালের শের–ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে উপজেলা সদরের প্রধান সড়কে এ সংঘর্ষ ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা লাঠিপেটা করে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
স্থানীয় সূত্র ও বিএনপির নেতারা জানান, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হকের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী মো. আবুল কালাম চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগ তুলে সোমবার সংবাদ সম্মেলন করেন। এর প্রতিবাদে আজ শহিদুল হকের সমর্থকেরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। একই সময়ে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মামুন ও যুবদল নেতা মিয়া রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজের নেতৃত্বে পাল্টা বিক্ষোভ কর্মসূচি নেয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, একপর্যায়ে উভয় পক্ষের কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে লাঠিসোঁটা ব্যবহার করা হয় এবং সড়কে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং নৌবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তালতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম বলেন, “শহিদুল হক একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে মারধর করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদেই আমাদের কর্মসূচি ছিল। সেখানে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।”
অপরদিকে, আহ্বায়ক শহিদুল হক বলেন, “আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ মানববন্ধন করছিল। সেখানে হামলা চালিয়ে আমার চারজন সমর্থককে আহত করা হয়েছে।”
তালতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, “আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গুরুতর চারজনকে বরিশাল মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।”
তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা বলেন, “সংঘর্ষের পর শহরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দোকানপাট সাময়িকভাবে দুই ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়।”
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, “এখনো কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”