রোববার ০১ জুন ২০২৫, জ্যৈষ্ঠ ১৮ ১৪৩২, ০৪ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

ব্রেকিং

সংবিধান পরিবর্তন ছাড়া ফ্যাসিবাদ বিলোপ সম্ভব নয়: এনসিপি মুখ্য সমন্বয়ক একুশের বন্ধুত্বে আগামীর পথচলা: বার্ষিক সম্মেলনে ২১তম বিসিএস প্রশাসন ফোরাম বিজিএমইএ`র নতুন নেতৃত্বে আসছেন বাবু, নিরঙ্কুশ জয়ের ইঙ্গিত জিলহজ মাসের আমল ও কোরবানির তাৎপর্য চট্টগ্রামে নারীকে লাথির ঘটনায় ভাইরাল আকাশ চৌধুরী বহিষ্কৃত, জামায়াতের বিবৃতি সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেই, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিল পবিস শ্রমিকরা আনচেলত্তির স্বপ্ন - রিয়াল মাদ্রিদের মতো করে খেলাবেন ব্রাজিলকে ডিমের দাম এখনো চড়া, ডজন ১৩০–১৪০ টাকায় বিক্রি বৈরী আবহাওয়ার কারণে নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপের সঙ্গে সারাদেশের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ হারের পর লিটনের মনোভাব - এখনো দুই ম্যাচ বাকি কাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব জুয়েলারি দোকান বন্ধ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করবে ডিএনএ টেস্ট করে নামফলক ও মর্যাদা চায় শহীদ পরিবারের সদস্যরা বেতন না পেয়ে ডাকাতি, জাহাজের চিফ ইঞ্জিনিয়ারসহ তিনজন আটক “বাংলাদেশে কৌশলগত স্বার্থ নেই দক্ষিণ কোরিয়ার”—রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক “শাপলার হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই”—হেফাজতের বিবৃতি মির্জা আব্বাস: “করিডর আর স্টারলিংক আনা হচ্ছে আরাকান আর্মির জন্য” জিলহজ মাসের চাঁদ দেখে যে দোয়া পড়বেন নির্বাচনের আগে যতটুকু দরকার, ততটুকুই সংস্কার করতে হবে: মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ‘চিন্তার স্বাধীনতাও হারাচ্ছি?’— নারী কমিশন বিতর্কে গীতিআরার উদ্বেগ ইউক্রেনে রাশিয়ার টানা হামলায় নিহত ১২, কঠোর চাপের আহ্বান জানালেন জেলেনস্কি সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন – তিনটি কঠিন দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট আমরা জুলাই অভ্যুত্থান ক্ষমতার পালাবদল নয়, এটি মৌলিক সংস্কার: নাহিদ হলুদ সাংবাদিকতা’ বিরোধী স্লোগানে উত্তাল শিক্ষক মিছিল ভারতের নিষেধাজ্ঞায় আখাউড়া বন্দর দিয়ে রপ্তানি কমেছে ৪০% বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলছে, দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি জাতীয় স্বার্থে অভিমান ভুলে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান : জামায়াত আমির আন্দোলনের পর অবশেষে নিয়োগ পেলেন ৪৩তম বিসিএসের বাদ পড়া ১৬২ জন নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে ইসির সামনে এনসিপির বিক্ষোভ কাল বাংলাদেশে স্টারলিংকের যাত্রা, স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের নতুন যুগ শুরু নরওয়ের দৃঢ় সমর্থন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বিগত সরকারের সময় প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত, এমন অবস্থা ছিল যে খতিবকেও পালাতে হয়েছিল: বাণিজ্য উপদেষ্টা গায়ের জোরে নগর ভবন দখল করে আন্দোলন চালাচ্ছে বিএনপি আবারও রাজপথে নামার ইঙ্গিত আসিফের, সতর্ক করলেন হাসনাত গোপন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন স্থগিত, ২০ মে আলোচনায় বসবে ঐক্য পরিষদ ভারতের আমদানি নিষেধাজ্ঞা সীমান্ত বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে ভারতের নতুন সিদ্ধান্তে উত্তর-পূর্বাঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশি ভোগ্যপণ্য আমদানি বন্ধ গত ৯ মাসে জুলাই-যোদ্ধাদের ওপর ৩৮টি হামলা জবি’র ৪ দফা দাবি মেনে নেওয়ায় আন্দোলনের সমাপ্তি ঘোষণা ডিবি থেকে মুক্তির পর আন্দোলনে উল্লাস জবি শিক্ষার্থীর গাজা দখলে নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা পুনর্ব্যক্ত করলেন ট্রাম্প শাহরিয়ার হত্যাকাণ্ডে বিচার নিশ্চিতের অঙ্গীকার উপদেষ্টা আসিফের সোনার দাম ভরিতে কমল ৩ হাজার ৪৫২ টাকা, নতুন দর কার্যকর শুক্রবার থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: নিরাপত্তা নিশ্চিতে বড় পদক্ষেপ প্রশাসনের আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধে ভারতের উদ্বেগ শ্রীনগরজুড়ে বিস্ফোরণ, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওমর আব্দুল্লাহর উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত: আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ ‘চলবে’, শনিবার গণজমায়েত ড্রোন যুদ্ধ: ভারত-পাকিস্তান বিরোধের নতুন অধ্যায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সরকার গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আ.লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ ছাড়বেন না আন্দোলনকারীরা ‘আপ বাংলাদেশ’–এর আত্মপ্রকাশ পূর্বঘোষণা ছাড়া ভারত সফরে সৌদি প্রতিমন্ত্রী, পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনায় কূটনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে সারা দেশ থেকে ঢাকা অভিমুখে মার্চের হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের দেশীয় ওষুধ কোম্পানি রেনাটাকে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে আইএফসি তারেক রহমান: সরকার হয়তো স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগে সহায়তা করছে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতের নির্দেশে ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল ইউটিউবে বন্ধ

লাইফস্টাইল

হাঁটার সময় মানুষ যেসব ভুল করে এবং কেন এগুলো বিপজ্জনক

 আপডেট: ১০:৪২, ৯ মার্চ ২০২৫

হাঁটার সময় মানুষ যেসব ভুল করে এবং কেন এগুলো বিপজ্জনক

আমরা প্রতিদিনই কমবেশি হাঁটি। এটি শরীরকে সুস্থ রাখার অন্যতম সহজ ও কার্যকর উপায়। তবে, আমাদের হাঁটার পদ্ধতিতে কিছু ছোট ভুল থাকতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে ব্যথা, আঘাত এবং শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে। অজান্তেই অনেক মানুষ এমন কিছু ভুল করে, যা হাঁটার উপকারিতা কমিয়ে দেয় এবং শারীরিক ঝুঁকি বাড়ায়। এখানে ১০টি সাধারণ হাঁটার ভুল ও সেগুলোর ক্ষতিকর দিক উল্লেখ করা হলো—

১. বারবার নিচের দিকে তাকানো
বিপদ: ঘাড়ে চাপ, দেহের ভঙ্গি খারাপ হওয়া, হোঁচট খাওয়ার ঝুঁকি।
কেন ক্ষতিকর: হাঁটার সময় বারবার নিচের দিকে তাকালে ঘাড় ও কাঁধে অতিরিক্ত চাপ পড়ে, যা ব্যথা ও স্টিফনেসের কারণ হতে পারে। এটি মেরুদণ্ডের ভারসাম্য নষ্ট করে এবং আমাদের শরীরের ভঙ্গি খারাপ করে দেয়। এছাড়াও, রাস্তার উঁচু-নিচু জায়গা ভালোভাবে দেখতে না পাওয়ায় হোঁচট খাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

২. বড় পদক্ষেপ নেওয়া (ওভারস্ট্রাইডিং)
বিপদ: হাঁটু, কোমর ও গোড়ালিতে বাড়তি চাপ, পেশির ভারসাম্য নষ্ট হওয়া, আঘাতের ঝুঁকি।
কেন ক্ষতিকর: অনেকেই মনে করেন বড় পদক্ষেপ নিলে দ্রুত হাঁটা যাবে, কিন্তু এটি হাঁটুর ওপর অপ্রয়োজনীয় চাপ সৃষ্টি করে। ফলে ব্যথা হতে পারে এবং হাঁটার স্বাভাবিক ছন্দ নষ্ট হয়। বরং, স্বাভাবিক ও ছোট ছোট পদক্ষেপ নেওয়াই ভালো।

৩. হাত ব্যবহার না করা
বিপদ: কম ক্যালোরি খরচ, ভারসাম্য নষ্ট হওয়া, হাঁটার কার্যকারিতা কমে যাওয়া।
কেন ক্ষতিকর: হাঁটার সময় হাত একদম স্থির রাখা বা অতিরিক্ত দোলানো শরীরের স্বাভাবিক ছন্দ নষ্ট করে। হালকা ও নিয়ন্ত্রিতভাবে হাত দোলালে ভারসাম্য বজায় থাকে, গতি বাড়ে এবং ক্যালোরি বেশি খরচ হয়।

৪. ভুল ভঙ্গিতে হাঁটা
বিপদ: পিঠের ব্যথা, ঘাড় ও কাঁধে টান, ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া।
কেন ক্ষতিকর: ঝুঁকে বা কুঁজো হয়ে হাঁটলে পেটের পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মেরুদণ্ডে চাপ সৃষ্টি হয়। এতে শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা সৃষ্টি হতে পারে এবং হাঁটার কার্যকারিতা কমে যায়। তাই সোজা হয়ে, কাঁধ রিল্যাক্স করে ও পেটের পেশি সক্রিয় রেখে হাঁটতে হবে।

৫. ভুল জুতা পরা
বিপদ: ফোসকা পড়া, পায়ে ব্যথা, জয়েন্টে চাপ, পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি।
কেন ক্ষতিকর: সঠিক সাপোর্ট ছাড়া জুতা (যেমন—স্যান্ডেল, হাই হিল বা বেশি শক্ত জুতা) পরলে পায়ে চাপ পড়ে, ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং দীর্ঘমেয়াদে জয়েন্টের সমস্যা হতে পারে। হাঁটার জন্য আরামদায়ক, কুশনযুক্ত ও আর্চ সাপোর্টযুক্ত জুতা পরা উচিত।

৬. ব্যথাকে অবহেলা করা
বিপদ: আঘাত গুরুতর হওয়া, দীর্ঘমেয়াদে ব্যথা, সুস্থ হতে বেশি সময় লাগা।
কেন ক্ষতিকর: শরীর যদি হাঁটার সময় ব্যথার সংকেত পাঠায়, তবে তা উপেক্ষা করা উচিত নয়। সামান্য ব্যথা অবহেলা করলে তা দীর্ঘমেয়াদে গুরুতর চোটে পরিণত হতে পারে। তাই ব্যথা অনুভব করলে বিশ্রাম নেওয়া উচিত।

৭. ওয়ার্ম-আপ ও কুল-ডাউন না করা
বিপদ: পেশি টান ধরা, আঘাতের ঝুঁকি, ব্যথা।
কেন ক্ষতিকর: সরাসরি হাঁটা শুরু করলে পেশিগুলোর ওপর আকস্মিক চাপ পড়ে, যা আঘাতের ঝুঁকি বাড়ায়। আবার হাঁটার পরপরই বিশ্রাম নিলে পেশিগুলো শক্ত হয়ে যেতে পারে। তাই হাঁটার আগে ধীরে ধীরে শুরু করা এবং শেষে হালকা স্ট্রেচিং করা উচিত।

৮. হাঁটার সময় মনোযোগ না দেওয়া (বিশেষত ফোন ব্যবহার করা)
বিপদ: হোঁচট খাওয়া, দুর্ঘটনা, রাস্তা পার হতে সমস্যা, খারাপ ভঙ্গিতে হাঁটা।
কেন ক্ষতিকর: ফোনে মনোযোগ দিয়ে হাঁটলে আশপাশের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা কমে যায়। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে এবং শরীরের ভঙ্গিও খারাপ হয়ে যায়। তাই হাঁটার সময় ফোন ব্যবহার না করাই ভালো।

৯. পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া
বিপদ: পানিশূন্যতা, পেশির টান, ক্লান্তি।
কেন ক্ষতিকর: হাঁটার সময় শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়, বিশেষ করে গরমের সময়। পানি কম খেলে মাথা ঘোরা, পেশি টান ধরা এবং ক্লান্তিবোধ হতে পারে। তাই হাঁটার সময় পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি।

১০. অতিরিক্ত হাঁটা
বিপদ: আঘাত, হাঁটার প্রতি অনীহা, অতিরিক্ত চাপের ফলে কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া।
কেন ক্ষতিকর: হাঁটা শরীরের জন্য ভালো, তবে অতিরিক্ত হাঁটলে পায়ের পেশি ও হাড়ের ওপর চাপ পড়ে। এতে স্ট্রেস ফ্র্যাকচার, শিন স্প্লিন্ট বা ক্লান্তিবোধ হতে পারে। তাই ধীরে ধীরে হাঁটার সময় ও গতি বাড়ানো উচিত।

উপসংহার:
সঠিকভাবে হাঁটা শুধু শারীরিক সুস্থতার জন্য নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদে ভালো স্বাস্থ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এই সাধারণ ভুলগুলো সংশোধন করে আমরা আরও উপকারী ও নিরাপদ হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারি।