বুধবার ১৪ মে ২০২৫, বৈশাখ ৩০ ১৪৩২, ১৬ জ্বিলকদ ১৪৪৬

ব্রেকিং

আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধে ভারতের উদ্বেগ শ্রীনগরজুড়ে বিস্ফোরণ, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওমর আব্দুল্লাহর উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত: আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ ‘চলবে’, শনিবার গণজমায়েত ড্রোন যুদ্ধ: ভারত-পাকিস্তান বিরোধের নতুন অধ্যায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সরকার গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আ.লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ ছাড়বেন না আন্দোলনকারীরা ‘আপ বাংলাদেশ’–এর আত্মপ্রকাশ পূর্বঘোষণা ছাড়া ভারত সফরে সৌদি প্রতিমন্ত্রী, পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনায় কূটনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে সারা দেশ থেকে ঢাকা অভিমুখে মার্চের হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের দেশীয় ওষুধ কোম্পানি রেনাটাকে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে আইএফসি তারেক রহমান: সরকার হয়তো স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগে সহায়তা করছে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতের নির্দেশে ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল ইউটিউবে বন্ধ

অর্থনীতি

এনবিআর বিলুপ্তির ব্যাখ্যা দিল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

ওএনপি২৪ নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: ২১:৪২, ১৩ মে ২০২৫

এনবিআর বিলুপ্তির ব্যাখ্যা দিল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

এনবিআর বিলুপ্তি: নতুন বিভাগের মাধ্যমে কর ব্যবস্থা দক্ষ ও স্বচ্ছ করার পদক্ষেপ

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে দুটি নতুন বিভাগ গঠনের সিদ্ধান্তের মূল লক্ষ্য হচ্ছে করনীতি প্রণয়ন ও কর ব্যবস্থাপনা আলাদা করা, দক্ষতা বৃদ্ধি, স্বার্থের সংঘাত কমানো এবং দেশের কর ভিত্তি সম্প্রসারণ করা।

এনবিআর বিলুপ্তির এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে এনবিআর রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত মাত্র ৭.৪% যা এশিয়ার মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন। বিশ্বে গড় কর-জিডিপি অনুপাত ১৬.৬%, এবং মালয়েশিয়ায় এটি ১১.৬%। দেশীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অন্তত ১০% কর-জিডিপি অনুপাত প্রয়োজন।

প্রেস উইং জানায়, এনবিআরের পুনর্গঠন জরুরি হয়ে পড়েছে কারণ একই প্রতিষ্ঠান নীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করার ফলে পক্ষপাতিত্ব, অনিয়ম এবং কার্যকর জবাবদিহির অভাব দেখা দিয়েছে। এর ফলে কর আদায়কারীরা ব্যক্তিগত স্বার্থে কর ফাঁকিদাতাদের সহায়তা করছেন এবং করজাল সম্প্রসারণে ব্যর্থ হয়েছেন।

এনবিআর ভেঙে দুটি আলাদা বিভাগ গঠনের পর, একটির দায়িত্ব হবে কর আইন প্রণয়ন, করহার নির্ধারণ ও আন্তর্জাতিক কর চুক্তি পরিচালনা, এবং অন্যটির দায়িত্ব হবে কর আদায়, নিরীক্ষা এবং আইন মেনে চলার তদারকি। এই দায়িত্ব বিভাজন গোপন সমঝোতা বা অনিয়মের ঝুঁকি কমাবে এবং প্রতিটি বিভাগের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে।

প্রেস উইং আরও জানায়, এই সংস্কারের ফলে কর আদায়ে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে, এবং ব্যবসায়ীরা আরও নির্ভরযোগ্য করব্যবস্থা পাবেন। এটি দেশের উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করবে।

এনবিআর ভেঙে রাজস্ব নীতি বিভাগ এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগ গঠন শুধু প্রশাসনিক পরিবর্তন নয়, বরং দেশের করব্যবস্থা আরো ন্যায়ভিত্তিক ও দক্ষ করার একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।