কারাবিধির ৫৬৯ ধারা অনুযায়ী মুক্তি পেলেন সাত হত্যা মামলার আসামি

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত সাত বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সাত বন্দির সাজা মওকুফ করে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কারাবিধির ৫৬৯ ধারা অনুযায়ী সোমবার (৩০ জুন) রাত ৮টার দিকে তাদের মুক্তি প্রদান করা হয়। মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা সবাই হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন।
এই সাত বন্দি হলেন—নওগাঁ সদরের ডাফাইল গ্রামের মোসলেম হোসেন, পত্নীতলা উপজেলার সম্ভুপুর গ্রামের বাসুদেব পাহান, সাপাহার উপজেলার কৈবতপাড়া গ্রামের আবু তালেব, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বলিহার গ্রামের জামাত আলী, মোহনপুর উপজেলার চুলনিয়াপাড়া গ্রামের আক্তার হোসেন, পবা উপজেলার মাধবপুর গ্রামের আকবর আলী এবং বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সংসারদিঘী গ্রামের শহিদুল ইসলাম।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহ আলম খান জানান, কারা কর্তৃপক্ষের বন্দি মুক্তি সংক্রান্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে মোট ১২৫ জন বন্দির নাম কারা অধিদপ্তরের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। যাচাই-বাছাই শেষে সরকার ১৩ জন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দির সাজা মওকুফের সিদ্ধান্ত নেয়, শর্ত ছিল জরিমানার অর্থ পরিশোধ।
তবে এই ১৩ জনের মধ্যে চার জনের সাজার মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছিল, ফলে তারা আগেই মুক্তি পেয়েছেন। আর দুই জন বন্দি অন্য কারাগারে বদলি হওয়ায়, তাদের মুক্তির জন্য সংশ্লিষ্ট কারাগারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি সাত বন্দিকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
সিনিয়র জেল সুপার আরও জানান, এই সাত জনের সাজার মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে ছিল এবং প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু অর্থ জরিমানা ছিল। সরকারি আদেশ আসার পরই জরিমানার টাকা আদায় করা হয় এবং পরবর্তীতে তাদের মুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন বন্দি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। তিনি কোনো ফোন নম্বর বলতে পারেননি, ফলে তার স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার বাড়ি নওগাঁ জেলায়। কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাকে নিরাপত্তার সঙ্গে তার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।