সোমবার ০৩ নভেম্বর ২০২৫, কার্তিক ১৮ ১৪৩২, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ব্রেকিং

‘হযবরল’ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে শৃঙ্খলায় আনার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার ‘শাপলা কলি’তেই রাজি এনসিপি ‘অনৈক্যের’ জন্য বিএনপি-জামায়াত সমানভাবে ‘দায়ী’: নাহিদ ইসলাম ভোটার বেড়ে দাঁড়াল ১২ কোটি ৭৬ লাখ ক্যান্সার নিয়ে সর্বজনীন সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার হাসিনাসহ রেহানা পরিবারের তিন মামলায় আরও ১১ জনের সাক্ষ্য কুষ্টিয়ায় ৬ হত্যা: হানিফসহ ৪ জনের বিচার শুরুর আদেশ মানবতাবিরোধী অপরাধে ইনুর বিচার শুরুর আদেশ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ ঢাকার কাতারের নিরাপত্তা হুমকির বিরুদ্ধে সংহতি পুনর্ব্যক্ত বাংলাদেশের গাইবান্ধায় চোর সন্দেহে গণপিটুনি, ৩ জনের মৃত্যু মোনথার প্রভাবে বৃষ্টি, সাগরে ফের লঘুচাপের আভাস যুক্তরাজ্যে ট্রেনে ছুরিকাঘাত, হাসপাতালে ১০ জন বিশ্বকাপের তিন মাস আগে টি-টোয়েন্টিকে বিদায় উইলিয়ামসনের

লাইফস্টাইল

হাদীসে বর্ণিত চিরন্তন মহৌষধ: কালোজিরা

 প্রকাশিত: ০৮:২৮, ৩০ আগস্ট ২০২১

হাদীসে বর্ণিত চিরন্তন মহৌষধ: কালোজিরা

হযরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসূল (সা.) কে বলতে শুনেছি,

“মৃত্যু ব্যতীত আর সকল রোগের প্রতিষেধক কালোজিরার মধ্যে রয়েছে।” (বুখারী)


রাসূল (সা.) এর এই হাদীসের প্রেক্ষিতে শত শত বছর ধরে মুসলমানদের মধ্যে কালোজিরার ব্যবহার প্রচলিত রয়েছে।

বিশ্বজুড়ে কালোজিরার ব্যবহার তিন হাজার বছর ধরে প্রচলিত রয়েছে। রাসূল (সা.) এর বর্ণিত ঔষধসমূহের মধ্যে কালোজিরা এক অনন্য স্থান দখল করে আছে।

কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত বিভিন্ন ঔষধি উদ্ভিদ ও প্রাকৃতিক প্রতিষেধক সম্পর্কে কুরআন ও হাদীসে সংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে। পরবর্তীতে ইবনে সিনা ও ইবনে রুশদ সহ অন্যান্য মুসলিম চিকিৎসাবিজ্ঞানী এগুলোর গুনাগুন বর্ণনা করে বিস্তারিত বিবরণ প্রদান করেন।

কালোজিরাই একমাত্র প্রতিষেধক যার সম্পর্কে হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের প্রতিষেধক হিসেবে।

রাসূল (সা.) এর বর্ণিত এটি অনন্য এক প্রতিষেধক। রাসূল (সা.) এর পূর্বে এটির ব্যবহার খুব জনপ্রিয় ছিলনা।   রাসূল (সা.) এর হাতেই কালোজিরার ব্যবহার বিপুলভাবে ছড়িয়ে পড়ে। তার পরবর্তীতে কালোজিরা সম্পর্কে মুসলিম-অমুসলিম সকল চিকিৎসাবিজ্ঞানীই গবেষণা করেন।

রাসূল (সা.) এর পূর্বে চিকিৎসাক্ষেত্রে চারশত প্রকার ঔষধি উদ্ভিদের ব্যবহার প্রচলিত ছিল এবং গ্যালেন ও হিপোক্রেটাসের মত প্রাচীন চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের হাতে তা লিপিবদ্ধ হয়েছিল। সেখানে কালোজিরার ব্যবহার খুব প্রচলিত ছিলনা।

রাসূল (সা.) এর সাথে সংশ্লিষ্টতার কারনে কালোজিরা ‘রাসূলের ঔষধ’ হিসেবে অধিক পরিচিতি লাভ করে।

কালোজিরার উপকারিতা বর্ণনাই শুধু নয়, রাসূল (সা.) কালোজিরা ব্যবহারের নির্দেশনাও দিয়েছেন। রাসূল (সা.) এর চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন হাদীসে এই নির্দেশনা পাওয়া যায়।

রাসূল (সা.) এর গুরুত্ব প্রদানের কারনে মুসলিম ইতিহাসে এমন কোন যুগ থাকেনি যখন মুসলিম চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা কালোজিরা নিয়ে গবেষণা করেননি।

রাসূল (সা.) এর সুন্নাহ বিবেচনার বিশ্বাস থেকে চিকিৎসাক্ষেত্রে মুসলমানদের মধ্যে কালোজিরার বিপুল ব্যবহার হয়ে আসছে।

যদিও, হাজার বছর ধরে এটি রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, ফার্মেসীর ক্ষেত্রেও কালোজিরার ব্যবহার উপকারী।

কালোজিরার মধ্যে একশতটির অধিক মূল্যবান উপাদান রয়েছে। ফ্যাটি এসিড, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট সহ বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের অবস্থান কালোজিরার মধ্যে রয়েছে।

স্টেরোল বিশেষ করে বিটা-স্টিওস্টেরলে কালোজিরা বিশেষভাবে সমৃদ্ধ। বিভিন্ন পোকার আক্রমন প্রতিহত করতে এটি ব্যবহৃত হতে পারে।

ভারতীয় রান্নায় এটি ব্যপকভাবে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে গরম মশলা ও পাঁচফোরনের সাথে মিশ্রিত হয়ে কালোজিরা বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া বায়ুনাশক ও ক্লান্তিনাশক ঔষধি হিসেবে ভারতে এর ব্যবহার প্রচলিত আছে। পাশাপাশি গর্ভকালীন জটিলতা দূর করতে ও নবজাকের জন্য মায়ের দুধ সরবরাহ সহজ করতে কালোজিরা ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

সকল রোগের ঔষধ হলেও সতর্কতার সাথে কালোজিরার ব্যবহার করা উচিত। কেননা কালোজিরার মধ্যে ম্যালানথিন, নিজিলাইন, ট্যানিন সহ বিভিন্ন উপাদান রয়েছে, যেগুলো কালোজিরার অধিক ব্যবহারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। সুতরাং, কালোজিরার ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরিমিত হারে ব্যবহার করা প্রয়োজন।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল