বিএসএমএমইউ’র নকল মাস্কের বিষয়ে যেভাবে সন্দেহ হয়

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সরবরাহ করা এন-৯৫ মাস্কের গায়ে ভুল ইংরেজি বানান দেখে প্রথমেই এটি নকল বলে সন্দেহ করে কর্তৃপক্ষ। পরে অন্যান্য বিষয় যাচাই করে তারা নিশ্চিত হন মাস্কগুলো নকল। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার শাহবাগ থানায় মাস্ক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী শারমিন জাহানের বিরুদ্ধে মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিএসএমএমইউয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা.মোজাফফর আহমেদ বলেন, সরবরাহ করা চালানের তৃতীয় ও চতুর্থ লটের মাস্কের বডিতে ছাপানো লেখায় ত্রুটি লক্ষ্য করি আমরা। এতে সন্দেহ হয় আমাদের। কেননা যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রস্তুত করা সামগ্রীতে ইংরেজি বানান ভুল থাকার কথা নয়। সেখানে ‘Contain’ এর স্থানে লেখা ছিল ‘Cotain’।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে আরো পরীক্ষা করে দেখা যায়, কোনো কোনো মাস্কে ‘নিরাপত্তা’ কোড ও ‘লট নম্বর’ সামগ্রীর প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত অথেনটিকেশন প্রক্রিয়ায় কাউন্টারফিট বা নকল মন্তব্য পাওয়া গেছে। এছাড়া কোনো কোনো মাস্কের বন্ধনী ফিতা ছেড়া ছিল। এতে কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে মাস্কের গুণগতমান নিম্নমানের।
এরপর অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী শারমিন জাহানকে গত ১৮ জুলাই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। ২০ জুলাই তিনি ‘দুঃখ’ প্রকাশ করেন। কিন্তু তা কর্তৃপক্ষের কাছে সন্তোষজনক মনে না হওয়ায় পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলায় তার সর্বোচ্চ শাস্তির অনুরোধ করা হয়েছে।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল