ফসলি জমির মাটি গিলছে ইটভাটা, বিপন্ন জনজীবন

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বিস্তীর্ণ ফসলি এলাকা এখন ইটভাটার নগরী। প্রতি বছর ভাটার মাটি যোগান দিতে গিয়ে কমে যাচ্ছে ফসলি জমি। ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে ফসল উৎপাদন। পাশাপাশি মাটি পরিবহনে ট্রলির অবাধ যাতায়াতে গ্রামীণ রাস্তাগুলোর হয়েছে বেহালদশা।
সূত্রে মতে, ২০১৯ সালে উপজেলা প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী এ এলাকায় ৮৬টি ইটভাটা সচল ছিল। এসব ভাটার বেশিরভাগই ২০২০ সালে লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়। এ থেকে বিভিন্ন কারণে ২০টি ইটভাটা বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে উচ্চ আদালত কর্তৃক ঢাকার পার্বর্ জেলাগুলোর ইটভাটা বন্ধের নির্দেশনা এলেও এ উপজেলায় বন্ধ হয়নি কোনো ইটভাটা। তাদের অধিকাংশই বিভিন্ন অজুহাতে ভাটার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। আর ইট তৈরির প্রধান উপকরণ মাটির যোগান দিতে গিয়ে ফসলি জমি কেটে সাবাড় করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন থেকে বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করে জড়িতদের জেল জরিমানা করলেও থামানো যাচ্ছে না এ মাটিকাটা। দিনের পরিবর্তে মাটি ব্যবসায়ী ও ভাটার মালিকেরা মাটি কাটার জন্য এখন রাতের আধাঁরকেই বেছে নিয়েছেন। ফলে প্রশাসন রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল