কাশ্মির ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা প্রত্যাখ্যান ভারতের

ভারত নিয়ন্ত্রিত অংশ: জম্মু-কাশ্মির ও লাদাখ পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত অংশ: আজাদ কাশ্মির ও গিলগিট-বালতিস্তান চীন নিয়ন্ত্রিত অংশ: আকসাই চীন
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পুরো কাশ্মির ভারতের অভ্যন্তরীণ ও সার্বভৌম ভূখণ্ড এবং এর একটি অংশ বর্তমানে পাকিস্তান অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) নয়াদিল্লিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব মন্তব্য করেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল।
তিনি বলেন, “পাকিস্তানের দখলে থাকা জম্মু-কাশ্মির আমাদের নিজস্ব এলাকা। পাকিস্তানকে সেটি ছেড়ে দিতে হবে। এ বিষয়ে ভারতের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি।”
মধ্যস্থতা প্রত্যাখ্যান ভারতের
প্রেস ব্রিফিংয়ে রণধীর জসওয়ালকে প্রশ্ন করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাশ্মির ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন—এ নিয়ে ভারতের মতামত কী?
জবাবে তিনি বলেন, “কাশ্মির সমস্যা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। বাইরের কোনো দেশের মধ্যস্থতার প্রয়োজন নেই, এবং নয়াদিল্লি এমন কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করবে না।”
কাশ্মির পরিস্থিতির পটভূমি
কাশ্মির অঞ্চলটি ঐতিহাসিকভাবেই তিনটি ভাগে বিভক্ত:
ভারত নিয়ন্ত্রিত অংশ: জম্মু-কাশ্মির ও লাদাখ
পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত অংশ: আজাদ কাশ্মির ও গিলগিট-বালতিস্তান
চীন নিয়ন্ত্রিত অংশ: আকসাই চীন
ভারত পুরো কাশ্মিরকেই নিজের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে থাকে, অপরদিকে পাকিস্তানও একই দাবি করে। তবে ভারত বলছে, পাকিস্তান তার দখলে থাকা এলাকা অবৈধভাবে দখল করেছে এবং তা ছেড়ে না দিলে আলোচনার কোনো ভিত্তি নেই।
সাম্প্রতিক সংঘাত ও যুদ্ধবিরতি
চলতি মাসের শুরুতে চারদিনব্যাপী ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সংঘর্ষে উভয় পক্ষই ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে। এই সংঘর্ষের পর গত শনিবার উভয় দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই যুদ্ধবিরতির কৃতিত্ব দাবি করেন এবং জানান, তিনি কাশ্মির সমস্যার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রাখতে চান।
তবে ভারত তা প্রত্যাখ্যান করে জানিয়ে দিয়েছে, কাশ্মির নিয়ে আলোচনার কোনো দরজা খোলা আছে শুধুমাত্র পাকিস্তানের সঙ্গে এবং তাও নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে।