বিশ্বের সবচেয়ে বিস্ময়কর জাদুকরি বস্তু মাটি
প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২০

মাটির অসামান্য, বিস্ময়কর ক্ষমতা সম্পর্কে মানুষ কতটুকু জানে? খুবই কম। এই বিশ্বের সবচেয়ে হেলাফেলার বস্তুগুলোর একটি হলো মাটি। মানুষের কাছে মাটি মানে হলো নেহাতই প্রাণহীন নির্জীব ধুলোবালি। কিন্তু এই ধারণা শুধু ভুল নয় -চরম ভুল- বলছেন বিজ্ঞানীরা।
প্রাণহীন ধুলো-কাদা তো নয়ই বরঞ্চ মাটি এতটাই জীবন্ত যে এক গ্রাম ওজনের মাটিতে ৫০ হাজার প্রজাতির মাইক্রো-অর্গানিজম বা অণুজীব থাকতে পারে। এই বিশ্বের জনসংখ্যা যত, এক চায়ের চামচ সমান মাটিতে তার চেয়েও বেশি অণুজীব থাকতে পারে। পায়ের নিচে এই লুকোনো যে জগত, সেখানকার যে বিশাল কর্মযজ্ঞ - এখনও মানুষ তার সামান্যই জানে। কিন্তু মাটির নিচে এসব জীব এবং অণুজীব দিন-রাত বিস্ময়কর অমূল্য সব কাজ করে চলেছে।
কোটি কোটি বছর ধরে অভিযোজনের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য এসব অণুজীব অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান তৈরি করছে। মানুষ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে বাঁচতে যেসব অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করছে তার অনেকগুলোর ভিত্তিই হচ্ছে মাটির নানা অণুজীবের তৈরি অ্যান্টিবায়োটিক।সুতরাং আমরা জীবন রক্ষার ওষুধ পাচ্ছি মূলত মাটি থেকে। এবং আমরা জানি না আমাদের পায়ের নিচে মাটির তলে চিকিৎসার আরো কত সূত্র চাপা রয়েছে। মাটির নিচে বিশেষ যে প্রাণীটি তৎপর তা হলো - কেঁচো।
বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইন কেঁচো নিয়ে এতটাই বিস্ময় বোধ করতেন যে তিনি বলেছিলেন, এই বিশ্বের ইতিহাসে কেঁচোর মত আর কোনো প্রাণী এত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে মনে হয় না।
কারণ কেঁচো শুধু মাটি তৈরিই করে না, মাটির সুরক্ষা করে। মাটির নিচে এই প্রাণীর চলাচলের ফলে যে খালি জায়গা তৈরি হয় তাতে গাছ তার শেকড় বিস্তারের সুযোগ পায়। আর মাটিতে নিচে ফাঁকা জায়গা তৈরি হওয়ার মাটির শক্তি বাড়ে। সেই সাথে মাটির নিচে ছড়িয়ে রয়েছে ফাঙ্গি বা ছত্রাকের বিশাল এবং জটিল জাল। গাছ-পালা এবং ছত্রাক বেঁচে থাকার জন্য একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল। ফলে তাদের মধ্যে দেয়া-নেয়ার খেলা চলে।
গাছের মত ফাঙ্গি বা ছত্রাক কার্বন ডাই অক্সাইড শুষে নিয়ে বাড়তে পারে না, কিন্তু মাটির নিচ থেকে পুষ্টি শুষে নিতে তারা অধিকতর পারদর্শী। ফলে, গাছ ও ছত্রাকের মধ্যে কার্বন ডাই অক্সাইড এবং পুষ্টির লেনদেন হয়। পাশাপাশি, গাছ বা গাছের অংশবিশেষ মরে যায় বলে অণুজীব তা থেকে খাবার পায়। ঐ সব অণুজীব আবার পোকা মাকড়ের খাবার। পাখি আবার ঐ সব পোকামাকড় খায়। এভাবেই নিরলসভাবে চলতে থাকে প্রকৃতির এই প্রক্রিয়া। মানুষ যা খায় তার প্রায় সবটাই কোনো না কোনোভাবে মাটি থেকেই আসে। কিন্তু বিষয়টা শুধু এমন নয় যে মাটি আমাদের জন্য কী কী করছে? মাটির গুরুত্ব অনুধাবন করা, মাটির সুরক্ষা আরো নানা কারণে জরুরি।
আপনি কি জানেন যে মাত্র পাঁচ বর্গ মিলিমিটার মাটি সৃষ্টি হতে ১০০ বছরেরও বেশি সময় লাগে? কিন্তু বিষাক্ত রাসায়নিকের কারণে, নগরায়নের কারণে বা ভূমিধসের কারণে মুহূর্তে সেই মাটি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। কিছু মাটি বহু পুরনো - কোটি কোটি বছর পুরনো। মনে করা হয় বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো মাটি রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায় যা ৩০০ কোটি বছর আগে তৈরি। ব্রিটেনের মাটির বয়স ১৫০০০ বছর যা সর্বশেষ বরফ যুগের পরপরই তৈরি হয়েছিল।
কার্বন সঞ্চয় করে রাখার জন্য মাটির গুরুত্ব অপরিসীম। কার্বন শুষে তা ভূপৃষ্ঠের বহু নিচে আটকে রাখে মাটি। গাছপালা যত কার্বন ধরে রাখে তার তিনগুণ থাকে মাটিতে । সুতরাং অমূল্য যে সম্পদ অতি ধীরে তৈরি হয়, তার সুরক্ষা কি আমরা করতে পারছি? এক কথায় উত্তর - পারছি না।
উদ্বেগের অনেকগুলো কারণ রয়েছে। তাদের অন্যতম - ব্যাপক বাণিজ্যিক চাষাবাদ। এর ফলে মাটিতে জমা কার্বন বেরিয়ে যাচ্ছে। ফলে মাটি নতুন করে তৈরি হতে যে সময় লাগবে তার চেয়ে ৫০ বা একশগুণ দ্রুত গতিতে আমরা কার্বন হারাচ্ছি।
ব্রিটেনে গত ৩০ বছরে এই ব্যাপক বাণিজ্যিক চাষাবাদের কারণে মাটিতে সঞ্চিত কার্বনের ১০ ভাগ নষ্ট হয়েছে। অনেক দেশে এ নিয়ে তথ্য পর্যন্ত নেই। কী হচ্ছে জানাও সম্ভব হচ্ছে না। বহু দেশে মাটি সুরক্ষার কোনো চেষ্টাও সেই।
আমরা মাটিতে খাদ্য ফলাই, মাটির ওপর ঘরবাড়ি, অবকাঠামো বানাই। ভূপৃষ্ঠের দুষিত পানি ছেঁকে ব্যবহারের উপযোগী করে নিচে জমা রাখে মাটি। বন্যার প্রকোপ কমায়। পরিবেশের ভারসাম্য ধরে রাখে। মাটি অসংখ্য জীব এবং অণুজীবের আশ্রয় এবং বেঁচে থাকার অবলম্বন। বিশ্বের কার্বন এবং নাইট্রোজেন চক্রের ভারসাম্যর প্রধানতম উপাদান হচ্ছে মাটি । কিছু ট্রাজেডি হলো যে এই মাটির সুরক্ষার জন্য লড়াই করার মানুষ খুবই কম। আমাদের কাছে মাটি মানেই নেহাতই ধুলো-বালি।
সূত্র: বিবিসি

- আবারো বাড়লো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি
- সেভেন স্টার গ্রুপের ৬ শীর্ষ সন্ত্রাসী আটক
- বাইডেন শপথ নেওয়ার আগেই ওয়াশিংটন ছাড়বেন ট্রাম্প
- ভারতে কারোনার টিকা প্রয়োগ শুরু
- পৌর নির্বাচন: হবিগঞ্জে গভীর রাতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ১০
- যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে ফেনসিডিল-বিয়ার জব্দ
- ৬০ পৌরসভায় ভোট চলছে
- ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪২ জন
- যুক্তরাজ্যের সকল ভ্রমণ করিডোর বন্ধ ঘোষণা
- বাইপোলার ডিজওর্ডার কি? এই রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা করাবেন যেভাবে
- ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহীর
- শিকারির ফাঁদে দরা পড়লো হরিণ
- কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বদলে গেল বিএনপি প্রার্থী
- যুক্তরাষ্ট্রে চার লাখ, বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ২০ লক্ষাধিক
- চট্টগ্রামে নির্বাচনী প্রচারণার সময় ছুরিকাঘাত, ছাত্রলীগ কর্মী নিহত
- শাওমিসহ চীনের আরো ৯ প্রতিষ্ঠান নিষিদ্ধ করল যুক্তরাষ্ট্র
- বাইডেন, এখন আপনার পালা : কিম জং উন
- হোটেল থেকে দোকান কর্মচারীর লাশ উদ্ধার
- একবার করোনা হলে সুরক্ষিত থাকা যায় কয়েক মাস: গবেষণা
- ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প: নিহত সাত, আহত কয়েকশ
- করোনা টিকা নিলেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান
- বাংলাদেশ সফরে আসা উইন্ডিজ ক্রিকেটার করোনায় আক্রান্ত
- হঠাৎ কেন জনপ্রিয় হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প তুর্কি অ্যাপ ‘বিপ’?
- চলে গেলেন জামালপুরের আদিবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা এবেন্দ্র সাংমা
- জুলিয়ানির ফি দিচ্ছেন না ট্রাম্প
- চর্বিযুক্ত খাবার খেয়েই ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে!
- পাল্টা খুন ৫ ঘণ্টার মধ্যেই
- ত্রিপুরার খোয়াই জেলায় বাড়ছে মৌ চাষ
- ৯৯৯-এ কল করে স্বামীকে বাঁচালেন স্ত্রী
- পরামর্শ, ঐক্য, স্বচ্ছ কারবার ও সুসামাজিকতা
- চট্টগ্রামে নির্বাচনী প্রচারণার সময় ছুরিকাঘাত, ছাত্রলীগ কর্মী নিহত
- ইসরাইলকে ‘বর্ণবাদী রাষ্ট্র’ হিসেবে চিহ্নিত করলো মানবাধিকার সংগঠন
- ঢাকা উত্তরে হচ্ছে ৩৬ ফুটওভার ব্রিজ, ৮টিতে সচল সিঁড়ি
- ভারি তুষারপাতের মধ্যেই চলছে বরফ নিয়ে খেলা
- ইন্দোনেশিয়ায় ৫৯ যাত্রীসহ বিমান নিখোঁজ
- ডব্লিউএইচও’র ম্যাপে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন জুম্মু-কাশ্মির
- রাজশাহী শাহ মখদুম বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার কবলে প্রশিক্ষণ বিমান
- নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে আবারও বিক্ষোভ ইসরায়েলিদের
- ‘সত্যবচনে’র জন্য সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাইকে ড. আসিফ নজরুলের অভিনন্দন
- বসুন্ধরার ঘরেই থাকলো শিরোপা
- সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির লটারি আজ
- সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান মারা গেছে
- শহীদ ফিলিস্তিনিদের কবরস্থান ভেঙে ‘তাওরাত উদ্যান’ বানাচ্ছে ইসরাইল
- দ্বীনের ওপর অবিচল থাকতে যে দোআ পড়বেন
- বাইডেনের শপথের আগেই কাতার অবরোধ প্রত্যাহার সৌদির
- উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে রাবি ছাত্রলীগ
- পাকিস্তানে সামাজিক মাধ্যমে রাসূল অবমাননা: তিনজনের ফাঁসির আদেশ
- লাখ লাখ তরুণ-তরুণী জীবদ্দশায় থেকেও ‘মরে যাচ্ছে’
- সামাজিক বাস্তবতায় নারীরা বিয়ের কাজি হতে পারবেন না: আদালত
- বাইডেনের শপথ নির্বিঘ্ন করতে ২০ হাজার সেনা মোতায়েন

- হজ্ব ও কুরবানী : জাগুক ঈমান, জ্বলুক ঈমানের প্রদীপ
- মূর্তি ও ভাস্কর্য
- কলিজার একশোটি টুকরো, প্রতিটি টুকরোয় তোমারই নাম...
- যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদ-বিরোধী আন্দোলন কী বার্তা দেয়?
- বর্তমান সম্পর্কে সচেতন থাকি, সামনের আমলের প্রস্তুতি নিই
- ফিতনা থেকে বাঁচব কীভাবে?
- ইসলামের প্রতি অনুগত হয়ে বলিউড ছাড়লেন অভিনেত্রী "সানা খান"
- বিশ্বের সবচেয়ে বিস্ময়কর জাদুকরি বস্তু মাটি
- মহররম মাহিনা : ‘ত্যাগ চাই, মর্সিয়া-ক্রন্দন চাহি না’
- হজ্ব ও কুরবানীর প্রাণ আল্লাহর স্মরণ
- ইসলামের নির্দশনের প্রতি অশ্রদ্ধা ইসলাম-বিদ্বেষরই বহিঃপ্রকাশ
- শরীয়া আইনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলে এমন জঘন্য ঘটনা বারবার ঘটবে না
- ধৈর্য ও নামায যাবতীয় সংকটের প্রতিকার
- আয়াসোফিয়ায় আযান : কী বলছে আয়াসোফিয়া?
- বিশ্বে একদিনে আক্রান্ত চার লাখ ৫১ হাজার