ইরাকে অপহৃত ১৩ তুর্কি নাগরিককে হত্যা করেছে কুর্দিরা

ইরাকে অপহৃত ১৩ তুর্কি নাগরিককে দেশটির নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন কুর্দিস্তান ওয়ার্কাস পার্টির (পিকেকে) সদস্যরা হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে তুরস্ক।
উত্তর ইরাকের একটি গুহায় তাদের হত্যা করা হয় বলে রোববার তুরস্কের কর্মকর্তারা জানান। যাদের হত্যা করা হয়েছে তাদের মধ্যে সেনা ও পুলিশ সদস্যরাও রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
পিকেকের বিরুদ্ধে তুরস্কের একটি সামরিক অভিযান চলার মধ্যেই এ ঘটনা ঘটল। এদিকে পিকেকে’র দাবি, তুরস্কের চালানো সেই অভিযানেই মারা গেছেন ওই তুর্কিরা।
উত্তর ইরাকের একটি গুহায় সম্প্রতি সেনা অভিযান চালায় তুরস্ক। গুহার ভিতর ঢুকে ১৩ জন তুর্কির মৃতদেহ উদ্ধার করে তারা।
তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ১২ জনের মাথায় গুলি করা হয়েছিল। একজনের কাঁধে।
মরদেহ পূর্ব তুরস্কে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানকার গভর্নর জানিয়েছেন, মৃতদের মধ্যে ছয়জন সেনা ও দুইজন পুলিশ কর্মী। তাদের ২০১৫-১৬ নাগাদ তাদের অপহরণ করা হয়।
পিকেকে ১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্কের কুর্দি অধ্যুষিত দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে। তারপর থেকে ওই অঞ্চলে তুরস্কের নিরাপত্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াইয়ে এ পর্যন্ত ৪০ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে।
তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পিকেকে-কে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
কুর্দিশ ইন্সটিটিউট অফ প্যারিসের ২০১৭ সালের হিসেবে বিশ্বে কুর্দিদের আনুমানিক সর্বোচ্চ সংখ্যা সাড়ে চার কোটির বেশি। তাদের বেশিরভাগই সুন্নি মুসলমান। বাকিরা শিয়া, অ্যালেভিজম, ইয়াদিজম, ইয়ারসানিজমসহ অন্যান্য ধর্মের অনুসারী। কুর্দিদের ভাষা অনেকটা ফার্সির মতো।
এর আগে সন্ত্রাসবাদীদের মোকাবিলা করা নিয়ে তুরস্ক ও ইরাক সরকার একমত হয়। গত ডিসেম্বরে ইরাকের প্রেসিডেন্ট তুরস্ক গেছিলেন। সেখানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সঙ্গে তার আলোচনা হয়।
ইরাকের প্রেসিডেন্ট বলেন, তুরস্কের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে এমন কোনো কাজ তিনি বরদাস্ত করবেন না। এরদোগান বলেন, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তুরস্ক, ইরাক ও সিরিয়ায় কোনো স্থান নেই।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল