গরমকালে ত্বকে বয়েল ও কারবাংকল হওয়ার কারণ

গরমকালে ত্বকের যত্ন নিন, বয়েল ও কারবাংকল এড়াতে সতর্ক থাকুন!
গ্রীষ্মকালীন গরম ও আর্দ্রতার প্রভাব ত্বকের ওপর পড়ে অনেক বেশি। এই সময়ে সাধারণ কিছু চর্মরোগের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বয়েল ও কারবাংকল।
বয়েল ও কারবাংকল কী?
বয়েল ও কারবাংকল হলো ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণজনিত ত্বকের রোগ, যেগুলোর পেছনে মূলত স্ট্যাফাইলোকোক্কাস ব্যাকটেরিয়া দায়ী।
বয়েল: ছোট ফোড়ার মতো দেখা যায়, যা চুলের গোড়ায় (follicle) হয়। ফোড়াগুলোতে পুঁজ থাকে, চারপাশে লালচে রঙ ও ফোলাভাব দেখা যায় এবং তা বেশ ব্যথাদায়ক হয়। কয়েক দিন পর নিজে নিজেই ফেটে যেতে পারে।
কারবাংকল: একাধিক বয়েল একসঙ্গে হয়ে একটি বড় জায়গাজুড়ে সংক্রমণ সৃষ্টি করে। আক্রান্ত ব্যক্তি জ্বরে ভোগেন এবং অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিক ও পুঁজ অপসারণের প্রয়োজন হয়।
গরমে কেন বেশি হয়?
১. অতিরিক্ত ঘাম: ঘামের ফলে ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়, বিশেষ করে যেখানে চুলের গোড়া আছে, যা ব্যাকটেরিয়ার জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি করে।
ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধি: গরম ও আর্দ্রতা ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে।
চামড়ায় ঘর্ষণ: ঘামের কারণে ত্বক ও কাপড়ের ঘর্ষণে ক্ষত সৃষ্টি হয়, যার ফলে ব্যাকটেরিয়া সহজে প্রবেশ করতে পারে।
অপরিচ্ছন্নতা: নিয়মিত গোসল না করা, ঘামে ভেজা কাপড় পরে থাকা ইত্যাদি অভ্যাস ত্বকে ব্যাকটেরিয়া জমার ঝুঁকি বাড়ায়।
প্রতিরোধে করণীয়
নিয়মিত গোসল করে পরিষ্কার থাকতে হবে এবং অ্যান্টিসেপটিক সাবান ব্যবহার করতে হবে।
ঢিলেঢালা, আরামদায়ক কাপড় পরা উচিত।
শরীর শুষ্ক রাখতে ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে।
কোনো ক্ষত হলে তা দ্রুত পরিষ্কার করতে হবে।
ব্যক্তিগত জিনিস যেমন রেজর, তোয়ালে, গামছা অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করা উচিত নয়।
পুষ্টিকর খাবার খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে।
ডায়াবেটিস থাকলে অবশ্যই তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, কারণ ডায়াবেটিক রোগীদের ঝুঁকি বেশি।
এই সাধারণ নিয়মগুলো মানলে গরমকালে বয়েল ও কারবাংকলের মতো সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। তবে যদি সংক্রমণ গুরুতর হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।