বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ৩ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

পর্যটন

সাগরের বুকে ২০২২ সালে গড়ে তোলা হবে বন্যা সহনশীল ‘ভাসমান শহর’

 আপডেট: ২০:৪৯, ১৯ ডিসেম্বর ২০২১

সাগরের বুকে ২০২২ সালে গড়ে তোলা হবে বন্যা সহনশীল ‘ভাসমান শহর’

এবার সে সাগরের বুকেই শহর গড়বে মানুষ। এমনই একটি প্রকল্পে সবুজ সংকেত দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান নগর কর্তৃপক্ষ।

তবে জানা যায় ,২০২২ সাল থেকেই ভাসমান এ মানব বসতির প্রথম মহল্লা নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
পরস্পর সংযুক্ত অনেকগুলো প্ল্যাটফর্ম মিলে গড়ে উঠবে প্রস্তাবিত ‌‘ভাসমান শহর’। সম্পূর্ণ কাজ শেষ হলে এতে ১০ হাজার মানুষ থাকতে পারবে বলে জানিয়েছেন এর মূল নকশাকারীরা। তাদের মতে, উপকূলীয় এলাকায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির হুমকি মোকাবিলার অনন্য সমাধান হবে এ প্রকল্প।

এদিকে ,ওশিয়ানিক্স প্রজেক্ট ২০১৯ সালে এ প্রকল্পের মূল নকশা প্রকাশ করে। যার উদ্দেশ্য ভবিষ্যতের বন্যামুক্ত উপকূলীয় শহর নির্মাণ। বুসানে প্রথম প্রকল্পটি হচ্ছে অপেক্ষাকৃত ছোট আকারে পরীক্ষামূলকভাবে।
ওশিয়ানিক্স প্রজেক্ট গ্রুপের এ প্রকল্প ডিজাইনার, স্থপতি ও প্রকৌশলীদের যৌথ প্রচেষ্টার ফসল। ২০১৯ সালে উপকূলীয় বন্যামুক্ত এ প্রকল্পের পরিকল্পনা উন্মোচন করা হয়। তারপর থেকেই একটি পরীক্ষামূলক আবাস নির্মাণে সমুদ্রের উপযুক্ত স্থান খোঁজা হচ্ছিল।

এরপর গত মাসে বুসান নগর কর্তৃপক্ষ ও জাতিসংঘের নগর উন্নয়ন সংস্থা ইউএন হ্যাবিটাটের সঙ্গে চুক্তি সই করে গ্রুপটি। ফলে প্রথম ভাসমান নগর পাবেন বুসানবাসী।  

যেভাবে হবে নির্মাণকাজ

ভাসমান প্লাটফর্মগুলো শহরের নানান অবকাঠামোর আকার ও ওজন অনুসারে প্রথমে কারখানায় উৎপাদন করে তারপর সেগুলো সাগরে ভাসানো হবে। এগুলো সমুদ্রের পানির উচ্চতা হ্রাসবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ওঠানামা করবে।
প্রতিটি মহল্লার আকার হবে পাঁচ একর, যাতে সাততলা সমান উঁচু ভবনে থাকতে পারবেন ৩০০ জন বাসিন্দা। তবে ভবিষ্যতে রয়েছে শহরের পরিধি আরো বাড়ানোর সুযোগ। পায়ে হাঁটার পথ ও বাইসাইকেল চলার ভাসমান পথের মাধ্যমে অনেকগুলো আবাসিক এলাকার নেটওয়ার্ক তৈরি করা যাবে।

প্রকল্পের নকশায় নেতৃত্বদানকারী ডেনিশ সংস্থা বিয়ার্ক ইঙ্গেলস গ্রুপ (বিআইজি) জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় একটি পোতাশ্রয়ের চারপাশে মহল্লার সংখ্যা বাড়ানো যাবে। যার প্রতিটিতে ১ হাজার ৬৫০ জন থাকবেন।
ধীরে ধীরে সব মহল্লা মিলে ১০ হাজার মানুষের নগরে রূপ নেবে, যাকে তারা বলছেন ওশিয়ানিক্স সিটি। এই শহরে রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে চাষাবাদ ও বিনোদন স্থাপনা, সবই থাকবে।

অন্যথায় ,সাগরের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূল অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে বুসান। গেল বছর পরিবেশবাদী সংস্থা গ্রিনপিস সতর্ক করে জানায়, ২০৩০ সালের মধ্যেই সমুদ্রগর্ভে হারিয়ে যাবে শহরটির বিখ্যাত হায়েনদায়ে সৈকত। এজন্যে ওশিয়ানিক্স সিটির জন্য বুসানকে বেছে নেওয়া হয়েছে।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: