বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫, আষাঢ় ৬ ১৪৩২, ২২ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

ব্রেকিং

তেহরানে ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার চলছেই, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৫০ ইরানে বাংলাদেশিদের সহায়তায় হটলাইন চালু উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভ: সিলেটে তিনজন কারাগারে ইসরায়েলের টার্গেটে ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার ভবন লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ১৩ জুন তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন: ফখরুল রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হবে কাঁচের মতো স্বচ্ছ ঘর: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাচনের ঘোষিত সময় মাথায় রেখে যথাসময়ে রোডম্যাপ দেবে ইসি: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ছাত্রদল নেতা নাছির উদ্দিন মণিপুরে আবার উত্তেজনা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের চাপে ঢাকার ৪ থানায় সক্রিয় অর্ধশতাধিক অপরাধী দল জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে: প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি: সালাহউদ্দিন আহমদ জুলাই সনদ–ঘোষণাপত্র হলে ঘোষিত সময়ে নির্বাচনে আপত্তি নেই: এনসিপি ২৫ কিলোমিটার যানজট, ২৪ ঘণ্টায় পারাপার ৬৪ হাজার যানবাহন বান্দরবানের রুমা ও থানচি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আংশিকভাবে প্রত্যাহার গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো, জাতিসংঘ নিরাপত্তা গরম মসলার বাজার শীতল: ক্রেতা কমে যাচ্ছে, দাম কিছুটা স্থিতিশীল ঈদে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দই-মিষ্টি মজুত, রংপুরে হিমাগারে অভিযান ও দুই লাখ টাকা জরিমানা বান্দরবানের লামায় পাহাড় ধসের শঙ্কায় ৬০ রিসোর্ট বন্ধ নির্বাচন নিয়ে তরুণদের প্রতি অসত্য অভিযোগ ও বাস্তবতা ভারতের মুসলমানদের কেন বারবার দেশপ্রেমের প্রমাণ দিতে হয় সংবিধান পরিবর্তন ছাড়া ফ্যাসিবাদ বিলোপ সম্ভব নয়: এনসিপি মুখ্য সমন্বয়ক একুশের বন্ধুত্বে আগামীর পথচলা: বার্ষিক সম্মেলনে ২১তম বিসিএস প্রশাসন ফোরাম বিজিএমইএ`র নতুন নেতৃত্বে আসছেন বাবু, নিরঙ্কুশ জয়ের ইঙ্গিত জিলহজ মাসের আমল ও কোরবানির তাৎপর্য চট্টগ্রামে নারীকে লাথির ঘটনায় ভাইরাল আকাশ চৌধুরী বহিষ্কৃত, জামায়াতের বিবৃতি সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেই, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিল পবিস শ্রমিকরা আনচেলত্তির স্বপ্ন - রিয়াল মাদ্রিদের মতো করে খেলাবেন ব্রাজিলকে ডিমের দাম এখনো চড়া, ডজন ১৩০–১৪০ টাকায় বিক্রি বৈরী আবহাওয়ার কারণে নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপের সঙ্গে সারাদেশের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ হারের পর লিটনের মনোভাব - এখনো দুই ম্যাচ বাকি কাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব জুয়েলারি দোকান বন্ধ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করবে ডিএনএ টেস্ট করে নামফলক ও মর্যাদা চায় শহীদ পরিবারের সদস্যরা বেতন না পেয়ে ডাকাতি, জাহাজের চিফ ইঞ্জিনিয়ারসহ তিনজন আটক “বাংলাদেশে কৌশলগত স্বার্থ নেই দক্ষিণ কোরিয়ার”—রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক “শাপলার হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই”—হেফাজতের বিবৃতি মির্জা আব্বাস: “করিডর আর স্টারলিংক আনা হচ্ছে আরাকান আর্মির জন্য” জিলহজ মাসের চাঁদ দেখে যে দোয়া পড়বেন নির্বাচনের আগে যতটুকু দরকার, ততটুকুই সংস্কার করতে হবে: মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ‘চিন্তার স্বাধীনতাও হারাচ্ছি?’— নারী কমিশন বিতর্কে গীতিআরার উদ্বেগ ইউক্রেনে রাশিয়ার টানা হামলায় নিহত ১২, কঠোর চাপের আহ্বান জানালেন জেলেনস্কি সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন – তিনটি কঠিন দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট আমরা জুলাই অভ্যুত্থান ক্ষমতার পালাবদল নয়, এটি মৌলিক সংস্কার: নাহিদ হলুদ সাংবাদিকতা’ বিরোধী স্লোগানে উত্তাল শিক্ষক মিছিল ভারতের নিষেধাজ্ঞায় আখাউড়া বন্দর দিয়ে রপ্তানি কমেছে ৪০% বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলছে, দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি জাতীয় স্বার্থে অভিমান ভুলে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান : জামায়াত আমির আন্দোলনের পর অবশেষে নিয়োগ পেলেন ৪৩তম বিসিএসের বাদ পড়া ১৬২ জন নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে ইসির সামনে এনসিপির বিক্ষোভ কাল বাংলাদেশে স্টারলিংকের যাত্রা, স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের নতুন যুগ শুরু নরওয়ের দৃঢ় সমর্থন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বিগত সরকারের সময় প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত, এমন অবস্থা ছিল যে খতিবকেও পালাতে হয়েছিল: বাণিজ্য উপদেষ্টা গায়ের জোরে নগর ভবন দখল করে আন্দোলন চালাচ্ছে বিএনপি আবারও রাজপথে নামার ইঙ্গিত আসিফের, সতর্ক করলেন হাসনাত গোপন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন স্থগিত, ২০ মে আলোচনায় বসবে ঐক্য পরিষদ ভারতের আমদানি নিষেধাজ্ঞা সীমান্ত বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে ভারতের নতুন সিদ্ধান্তে উত্তর-পূর্বাঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশি ভোগ্যপণ্য আমদানি বন্ধ গত ৯ মাসে জুলাই-যোদ্ধাদের ওপর ৩৮টি হামলা জবি’র ৪ দফা দাবি মেনে নেওয়ায় আন্দোলনের সমাপ্তি ঘোষণা ডিবি থেকে মুক্তির পর আন্দোলনে উল্লাস জবি শিক্ষার্থীর গাজা দখলে নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা পুনর্ব্যক্ত করলেন ট্রাম্প শাহরিয়ার হত্যাকাণ্ডে বিচার নিশ্চিতের অঙ্গীকার উপদেষ্টা আসিফের সোনার দাম ভরিতে কমল ৩ হাজার ৪৫২ টাকা, নতুন দর কার্যকর শুক্রবার থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: নিরাপত্তা নিশ্চিতে বড় পদক্ষেপ প্রশাসনের আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধে ভারতের উদ্বেগ শ্রীনগরজুড়ে বিস্ফোরণ, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওমর আব্দুল্লাহর উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত: আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ ‘চলবে’, শনিবার গণজমায়েত ড্রোন যুদ্ধ: ভারত-পাকিস্তান বিরোধের নতুন অধ্যায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সরকার গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আ.লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ ছাড়বেন না আন্দোলনকারীরা ‘আপ বাংলাদেশ’–এর আত্মপ্রকাশ পূর্বঘোষণা ছাড়া ভারত সফরে সৌদি প্রতিমন্ত্রী, পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনায় কূটনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে সারা দেশ থেকে ঢাকা অভিমুখে মার্চের হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের দেশীয় ওষুধ কোম্পানি রেনাটাকে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে আইএফসি তারেক রহমান: সরকার হয়তো স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগে সহায়তা করছে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতের নির্দেশে ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল ইউটিউবে বন্ধ

স্পেশাল

বিজয় মিছিলে আক্কাসের মৃত্যু, পরিবারে বিপর্যয়

 প্রকাশিত: ১১:০০, ৫ মার্চ ২০২৫

বিজয় মিছিলে আক্কাসের মৃত্যু, পরিবারে বিপর্যয়

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দুপুরে ১৬ বছরের স্বৈরশাসন পতনের বিজয় উদযাপন করতে যাত্রাবাড়ীর মুরাদপুর এলাকার ভাড়া বাসা থেকে বের হন মো. আক্কাস আলী, কিন্তু সেই আনন্দের মুহূর্তটি এক অবর্ণনীয় বিষাদে পরিণত হয়।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর বিজয় মিছিলে যোগ দিতে গিয়ে যাত্রাবাড়ী থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শাহাদত বরণ করেন ৪৪ বছর বয়সী প্লাস্টিক কারখানার শ্রমিক মো. আক্কাস আলী।

আক্কাসের আকস্মিক মৃত্যু তার পরিবারে বিপর্যয় ঢেকে এনেছে। কেননা তিন সদস্যের পরিবারে তিনিই ছিলেন একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার স্ত্রী লাভলি আক্তার (৪০) এবং ১৯ বছর বয়সী ছেলে এখন আব্দুর রব অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি। আর্থিক সংকটের সঙ্গে লড়াই করছেন তারা। এখনও উল্লেখযোগ্য কোনো সাহায্য পাননি তারা।

শনির আখড়ার কুদার বাজার এলাকার একটি কওমি মাদ্রাসার ছাত্র আব্দুর রব শেষবার তার বাবার সঙ্গে একসঙ্গে খাওয়ার স্মৃতি স্মরণ করে বলেন, '৫ আগস্ট জোহরের নামাজের পর বাবা তার কারখানা থেকে দুপুরের খাবার খেতে বাড়িতে আসেন। আমিও ছাত্র আন্দোলনের মিছিল থেকে ফিরে আসি। মাসহ আমরা একসাথে দুপুরের খাবার খাই।  বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিই।'

তিনি বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর বিজয় মিছিলে যোগ দিতে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে কুতুবখালীর দিকে যান। কিন্তু তিনি জানতেন না যে তার বাবাও যাত্রাবাড়ীর ধোলাইপাড় এলাকায় মিছিলে যোগ দিয়েছেন।

তার পরিবারের সদস্যদের মতে আক্কাস রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন না। তিনি কখনোই ছাত্র আন্দোলন নিয়ে কথা বলেননি। তবু তিনি শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের পতনের বিজয় মিছিলে যোগ দিয়ে ইতিহাসের সাক্ষী হতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত তার জীবন কেড়ে নেয়।

'আমার বাবা দেশের রাজনীতিতে আগ্রহী ছিলেন না, তাই আমরা ভেবেছিলাম তিনি তার কর্মস্থলে যাবেন। কিন্তু পরে আমি জানতে পারি যে তিনি যাত্রাবাড়ী থানার সামনে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। তখন আমি ফ্লাইওভারের ওপরেই ছিলাম,' রব বলেন।

মিছিল শেষে তিনি মাগরিবের নামাজের সময় তার মাদ্রাসায় ফিরে আসেন। কিন্তু নামাজের পর ক্লাসে থাকাকালীন একজন শিক্ষক তাকে ডেকে বাড়ি যেতে বলেন। তার পরিবারের একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানান তিনি। কিন্তু তিনি বুঝতেই পারেননি যে তার বাবাই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

বাড়িতে ফিরে তিনি যা দেখলেন তা তার সবচেয়ে খারাপ আশঙ্কাকেও ছাড়িয়ে যায়। :মাদ্রাসা থেকে ফিরে আমি দেখি আমার বাবার নিথর দেহ স্থানীয় মসজিদের সামনে খাটিয়ায় শোয়ানো আছে,' কোনো মতে আবেগ সংবরণ করে রব সেই মর্মান্তিক মুহূর্তের কথা স্মরণ করেন।

আক্কাসের শোকার্ত স্ত্রী লাভলি আক্তার স্মরণ করেন, বাড়ি থেকে বের হওয়ার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর কারখানার মালিকের ছেলে নাঈম তাদের বাড়িতে আসেন এবং জানান যে আক্কাসকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

কেউ আক্কাসের ফোন ব্যবহার করে নাঈমকে ফোন করে জানান যে ফোনের মালিক গুরুতর অবস্থায় আছেন। কিন্তু তখনই আক্কাসের মৃত্যু হয়ে গিয়েছিল, কারণ একটি গুলি তার বুক ভেদ করে পিঠ দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ফোনকারী সত্য বলার সাহস পাননি।

'খবর শুনে আমি ভেবেছিলাম এটি রাবার বুলেটের মতো সামান্য আঘাত হতে পারে। তবে আমি আমার ছোট ভাসুর মো. রজ্জাক আলীকে ফোন করি এবং তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠাই,' শোকার্ত কণ্ঠে লাভলি বলেন।

'কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছে রজ্জাক তার ভাইয়ের নিথর দেহ দেখতে পান,' তিনি বলেন।

রজ্জাক তার এক বন্ধুর সঙ্গে আক্কাসের লাশ মাগরিবের আগেই বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরের দিন সকালে আক্কাসকে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়। ছেলে রব তার বাবার জানাজা পড়ান।

সেদিনের ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা স্মরণ করে রব বলেন, তিনি নিজেও কয়েকবার গুলি থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পান, আর যাত্রাবাড়ী থানার সামনের রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাসিন্দা আক্কাসের পরিবার গত ৪০ বছর ধরে রাজধানীর দনিয়া এলাকায় বসবাস করছে। তাদের কোনো জমি বা বাড়ি নেই। আক্কাসের বাবা মো. সোনা মিয়া এবং মা মোমেলা খাতুন বহু বছর আগে মারা গেছেন। আক্কাসের একমাত্র ছোট ভাই রজ্জাক পাশে থাকলেও তিনিও আর্থিক সংকটে ভুগছেন। আর তার চার বোনই বিবাহিত।

দৈনন্দিন সংগ্রামের কথা বলতে গিয়ে লাভলি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, 'একজন নারীর জন্য স্বামীই সব। কিন্তু আমি তাকে চিরতরে হারিয়েছি। এখন আমাদের আল্লাহ ছাড়া কেউ নেই।'

তাদের একমাত্র ছেলে রব এখন পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করে সংসার চালানোর চেষ্টা করছেন। 'কিন্তু আমার পড়াশোনার খরচ বাদ দিয়ে যা আয় হয় তা দৈনন্দিন খরচ মেটানোর জন্য যথেষ্ট নয়,' তিনি বলেন।

তাদের এই করুণ অবস্থা সত্ত্বেও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে এখনও কোনো সাহায্য পায়নি তারা। তবে লাভলি আক্তার তার ছেলের জন্য তাৎক্ষণিক আর্থিক সাহায্য এবং সরকারি চাকুরির আবেদন জানান।

এখন কীভাবে সংসার চালাচ্ছেন জানতে চাইলে লাভলি বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর তারা জামায়াতে ইসলামী থেকে ২ লাখ টাকা এবং আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন থেকে ১ লাখ টাকা পেয়েছেন, যা তাদের বেঁচে থাকতে সাহায্য করেছে।

স্বামীর ন্যায়বিচার চেয়ে লাভলি বলেন, 'আমি আমার স্বামীর মৃত্যুর বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি। আমি আক্কাস হত্যার সঙ্গে জড়িতদের মৃত্যুদণ্ড চাই।'