উৎসবমুখর নির্বাচনের মধ্যেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা দেখতে চায় বিএনপি

২০১৪ সালের ১৪ জুন কালশীর উর্দূভাষীদের কুর্মিটোলা ক্যাম্পের হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর উপলক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়।
জাতীয় নির্বাচনকে উৎসবমুখর পরিবেশের অংশ বলে মন্তব্য করে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক বলেছেন, বিএনপি চায় উৎসবমুখর নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাজধানীর পল্লবীতে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশটি ২০১৪ সালের ১৪ জুন কালশীর উর্দুভাষীদের কুর্মিটোলা ক্যাম্পে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করে পিপলস জেনারেল রিহ্যাবলিটেশন কমিটি কুর্মিটোলা শাখা (এসপিজিআরসি) ও উর্দুভাষী যুব ছাত্র আন্দোলন।
বক্তব্যে আমিনুল হক বলেন, গত ১৭ বছর ধরে দেশের মানুষ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। সেই কাঙ্ক্ষিত নির্বাচনের জন্য জনগণ এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আর কোনো স্বৈরাচার দেখতে চায় না বিএনপি। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সবাই বাংলাদেশি হিসেবে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করুক এবং যার যার মতামত স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে পারুক।’
২০১৪ সালের কুর্মিটোলা ক্যাম্পে হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে আমিনুল হক বলেন, বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে এই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত, তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে। নিহত ১০ জনের মধ্যে বেঁচে থাকা একমাত্র সদস্য ফারজানার ভরণপোষণের দায়িত্বও তিনি নিজেই গ্রহণ করবেন বলে জানান।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচার বাংলাদেশের মাটিতেই হবে। তিনি দাবি করেন, গত ১৭ বছরে তাদের ভাইদের হত্যা, গুম ও খুন করা হয়েছে এবং ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্রদের হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচার ও তাদের দোসরদের বিচার একদিন হবেই।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন এসপিজিআরসি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এম শওকত আলী। আরও বক্তব্য দেন— কুর্মিটোলা শাখার সভাপতি সাদাকাত হোসেন ফাক্কু, সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী বাবলু এবং সহসভাপতি মঈনুদ্দিন হোসেন মুন্না।