টিকিট বিক্রিতে ৩৮৯০ টাকা ঘাটতি, পূর্বধলায় তিনজন আটক

নেত্রকোনার পূর্বধলায় ট্রেনের টিকিট বিক্রিতে অনিয়ম ও কালোবাজারির অভিযোগে বলাকা কমিউটার ট্রেনের টিকিট মাস্টার, এজেন্ট এবং কাউন্টার পরিচালনায় যুক্ত এক ব্যক্তিকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। সোমবার (১৬ জুন) বিকেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার যৌথ অভিযানে এ তিনজনকে আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন: মো. সিরাজুল ইসলাম- বলাকা কমিউটার ট্রেনের টিকিট মাস্টার. বদরুল আলম ঝুমন- ট্রেনের টিকিট এজেন্ট, আবুল কাশেম ওরফে জাপান- কাউন্টার পরিচালনার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় ব্যক্তি।

রেলওয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সূত্র জানায়, বলাকা কমিউটার ট্রেনের যাত্রীরা নির্ধারিত টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযোগ করলে যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। উপস্থিত হয়ে তারা দেখতে পান, টিকিট কাউন্টারের বাইরে অবৈধভাবে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।

আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে তারা দাবি করেন টিকিট শেষ হয়ে গেছে। তবে বাস্তবে বিক্রি হওয়া টিকিটের টাকা এবং টিকিটের হিসাব মেলেনি। যৌথ বাহিনী ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ টিকিট বিক্রির হিসাব পরীক্ষা করে দেখতে পায়, যেখানে ১৬,৫৬০ টাকা থাকার কথা ছিল, সেখানে পাওয়া যায় মাত্র ১২,৭৫০ টাকা। অর্থাৎ, ৩,৮৯০ টাকা ঘাটতি পাওয়া যায়।

অর্থসংক্রান্ত এই অনিয়মের সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে না পারায় অভিযুক্তদের আটক করে ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন বলেন,
"যৌথ বাহিনীর অভিযানে তিন ব্যক্তিকে আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে এবং আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হচ্ছে।"