কারখানা খুলেছে, কিন্তু বেতন-বোনাসে ঝামেলা: শ্রমিক অসন্তোষ বাড়ছে

Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association
ঈদুল আজহার ছুটি শেষে দেশের তৈরি পোশাক শিল্পে (গার্মেন্টস) চালু ও বন্ধ থাকা কারখানাগুলোর চিত্রে স্বস্তি ও উদ্বেগ—দুইয়েরই ছাপ দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১৭ জুন) পর্যন্ত তাদের আওতাধীন ২,০৮৮টি কারখানার মধ্যে ২,০৭৪টি চালু রয়েছে, যা মোটের ৯৯.৩৩ শতাংশ। তবে বেতন ও বোনাসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ১৪টি কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে, যা ০.৬৭ শতাংশ।
গাজীপুর ও ময়মনসিংহ: এই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি কারখানা খোলা রয়েছে—মোট ৮৪৩টি। তবে এর মধ্যে ৯টি কারখানায় শ্রমিকরা কাজ করছেন না বা লে-অফ ঘোষণা করা হয়েছে।
সাভার, আশুলিয়া ও জিরানী: এখানে ৩৯৫টি কারখানার মধ্যে ৮টি বন্ধ রয়েছে। এর বাইরে আশুলিয়া ও সাভারে মাসকট গ্রুপের তিনটি কারখানা ১৬ জুন থেকে লে-অফ ঘোষণা করেছে।
বসুন্ধরা গার্মেন্টস লিমিটেড (সাভার ও মানিকগঞ্জ)-এ শ্রমিকদের বেতন-বোনাস বকেয়া থাকায় উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটেছে।
টঙ্গী, ভোগড়া ও বাইপাস: এই এলাকাগুলোতেও কিছু কারখানায় সাময়িক ছুটি ও লে-অফ চলছে। এর মধ্যে: সিজন ড্রেসেস লিমিটেড- বেতন-বোনাস দাবিতে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রেখেছেন, ইন্টারলিংক অ্যাপারেলস- মে মাসের বেতন আংশিক পরিশোধ, টেকনো ফাইবার লিমিটেড ও বিএইচআইএস অ্যাপারেলস- শ্রম আইন ১৩/১ ধারা অনুসারে বন্ধ ঘোষণা।
কাশিমপুর, জিরানী, কোনাবাড়ী ও শ্রীপুর: এ এলাকাগুলোর একাধিক কারখানা বেতন না দেওয়ায় কাজ বন্ধ করে দিয়েছে বা ছুটি ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে: ডরিন অ্যাপারেলস লিমিটেড, ডরিন গার্মেন্টস লিমিটেড। এই দুটি কারখানার শ্রমিকেরা কাজ না করেই চলে গেছেন, বেতন না পাওয়ায়।
ঢাকা মহানগর (ডিএমপি), চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জ: এই তিন অঞ্চলে গার্মেন্টস খাতে পুরোপুরি স্বস্তি রয়েছে। সব কারখানাই চালু আছে। চট্টগ্রাম: ২০৪টি, ডিএমপি এলাকা: ৩৪২টি, নারায়ণগঞ্জ: ৮টি
মিরপুর-২, ঢাকা: ফ্লোরেসেন্ট অ্যাপারেলস লিমিটেড-এ শ্রমিক ছাঁটাইকে কেন্দ্র করে কাজ বন্ধ রয়েছে।