রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কাঠামোগত রূপান্তর চায় এবি পার্টি

জাতীয় সাংবিধানিক পরিষদ (এনসিসি) গঠন এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতির বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি। আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংস্কার সংলাপের দ্বিতীয় পর্যায়ের তৃতীয় বৈঠকে এই অবস্থান স্পষ্ট করে দলটি।
বেলা সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। বৈঠকের শুরুতেই তিনি এনসিসি গঠন ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি–সংক্রান্ত প্রস্তাব তুলে ধরেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, “অতীতে নির্বাহী বিভাগের নামে মূলত শেখ হাসিনার একক পছন্দেই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ফলে ফ্যাসিবাদী আমলে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিকে পর্যন্ত বলতে শোনা গেছে যে তিনি ‘শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’।"
তিনি আরও বলেন, “দলান্ধ অযোগ্য লোকদের নিয়োগ দেওয়ার কারণে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) প্রশ্নপত্র ব্যাপকহারে ফাঁস হয়েছে, যা নজিরবিহীন। প্রশ্ন হলো, আমরা কি আগের অবস্থা বহাল রাখব, নাকি সংস্কার করব? সহস্র প্রাণ ও রক্তসাগর পেরিয়ে যে গণ–অভ্যুত্থান হয়েছে, সেটাকে তাৎপর্যপূর্ণ করতে হলে অবশ্যই সংস্কার অপরিহার্য। সে কারণেই জাতীয় সাংবিধানিক পরিষদ গঠন ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিতে এবি পার্টি সম্মত।”
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতির প্রতি সমর্থন জানিয়ে এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানী আবদুল হক বলেন, “বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পদটি সত্যিকার অর্থে ক্রিয়াশীল করার জন্য নির্বাচন পদ্ধতির পাশাপাশি এর কার্যক্রমের গুণগত পরিবর্তন আবশ্যক। তা না হলে একটি সুন্দর পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি একজন প্রতীকী রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে অকার্যকর ভূমিকা অব্যাহত রাখবেন।”
উল্লেখ্য, সংস্কার প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ধারাবাহিক এই বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও সাংবিধানিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এবি পার্টির স্পষ্ট অবস্থান রাষ্ট্রপতির কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করতে কাঠামোগত সংস্কারের প্রতি তাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির ইঙ্গিত দেয়।