‘গণতন্ত্র’ থাকলে সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর আস্থা’ও থাকতে হবে: ইসলামী

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান
সংবিধানের মূলনীতিতে ‘গণতন্ত্র’ থাকলে তার সঙ্গে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ যুক্ত করাও প্রয়োজন—এমন মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।
রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল মাল্টিপারপাস হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্বের আলোচনার পঞ্চম দিনের বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আতাউর রহমান বলেন, “বাহাত্তরের সংবিধানে থাকা চার মূলনীতি বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ও ধর্মীয় বাস্তবতায় যথাযথ নয়। এই সংবিধান জনগণের মাধ্যমে অনুমোদিত হয়নি। ফলে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই এই মূলনীতি বাতিলের পক্ষে। সংবিধানে নতুন বাস্তবতা অনুযায়ী মূলনীতি পুনর্গঠন করা জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, “স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে যেসব মূল্যবোধ ছিল—সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার—তা সংবিধানে যুক্ত হলে আমাদের আপত্তি নেই। তবে গণতন্ত্র রাখতে চাইলে অবশ্যই আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসও পুনঃস্থাপন করতে হবে। এটি শুধু আমাদের নয়, অধিকাংশ রাজনৈতিক দলেরই প্রস্তাব।”
মূলনীতি প্রশ্নে মতবিরোধের কারণে বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান গাজী আতাউর রহমান। তিনি বলেন, “ভবিষ্যতে আলোচনা করে যদি ঐকমত্যে আসা সম্ভব না হয়, তবে গণভোটের মাধ্যমে বা পরবর্তী সংসদে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।”
নির্বাচনপদ্ধতি নিয়েও মতপ্রকাশ করেন তিনি। বলেন, “উচ্চকক্ষের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হলেও নিম্নকক্ষের নির্বাচনপদ্ধতি নিয়ে কোনো এজেন্ডা নেই। আমরা তা তুলে ধরেছি এবং সংখ্যানুপাতিক ভোটপ্রথা চালুর প্রস্তাব দিয়েছি। এ বিষয়টি আলোচ্য এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত।”