মসজিদে মৃতের জন্য দুআর পর বিতরণ করা মিষ্টি খাওয়ার হুকুম কী?

প্রশ্ন
আসসালামু আলাইকুম! আশাকরি আল্লাহর ফজলে ভাল আছেন।
বিষয়টি হল সাধারণত মাসজিদে জুমাবার মিষ্টি জাতীয় জিনিস আনে। এনে খতিব সাহেবকে বলে মরহুমের জন্য দোয়া করতে। আমার জানার বিষয় হল মায়্যেতের জন্য দোয়া করে এ ধরনের মিষ্টি খাওয়া কি জায়েজ হবে?
২/ ইমাম সাহেবদের খাওয়ার দাওয়াত দেয়া হয় পিতা মাতা ইত্যাদি আত্মীয়ের স্বরণে। এসে খাওয়ার আগে কিংবা পরে বলে ‘হুজুর দোয়া করেন।’ আমি জানতে চাচ্ছি মরহুমের জন্য দোয়া করে খাওয়া বা টাকা গ্রহণ জায়েজ হবে কিনা? বা মায়্যেত এ দোয়ার উপকার হাসিল করবে কিনা?
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আমাদের দেশে মূলত মসজিদে মৃতের জন্য যে দুআ করানো হয়, বা আলেম উলামাকে বাড়িতে ডেকে যে দুআ করানো হয়, সেখানে সাধারণত খানার বা টাকার বিনিময়ে দুআ করানো মাকসাদ থাকে না। বরং এমনিতে দুআ করা হয়। তারপর মৃতের আত্মীয়রা খুশি হয়ে খানা বা হাদিয়ার ব্যবস্থা করে থাকে। এটাকে নাজায়েজ বা হারাম বলার সুযোগ নেই।
তবে এভাবে দুআর পর খানা খাওয়ানোর পদ্ধতিটি রেওয়াজে পরিণত হওয়ায় তা পরিত্যাগ করাই উচিত।
তবে যদি খানা বা টাকার বিনিময়ে দুআ করানো মাকসাদ থাকে, তাহলে উক্ত দুআ যেমন কবুল হওয়া নিয়ে প্রবল সন্দেহ রয়েছে। তেমনি এভাবে খানা বা টাকার বিনিময়ে দুআ করাও জায়েজ হবে না।
وأما قرءة القرآن وإهداء هاله تطوعا بغير أجرة فهذا يصل إليه كما يصل ثواب الصوم والحج (شرح العقيدة الطحاوى، دار الكتب العلمية بيروت-457)
الأصل فى هذا الباب أن الانسان له أن يجعل ثواب عمله لغيره صلاة أو صوما أو صدقة أو غيرها عند أهل السنة والجماعة (الهداية، كتاب الحج، باب الحج عن الغير، اشرفى ديبند-1/296، رد المحتار، زكريا-4/10، كرتاشى-2/595، مصرى قديم-2/256)
عن عائشة قالت: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من صنع أمرا من غير أمرنا فهو مردود (مسند احمد بن حنبل-6/73، رقم-24954)
Online_News_Portal_24