ট্রাম্পের কড়া হুঁশিয়ারি, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করলে ইরানে আবার হামলা

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনির দাবি শিকেয় ওঠায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের তীব্র প্রতিক্রিয়া ও নতুন বোমাবর্ষণের হুমকি।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধে ইরানের জয় দাবি করলেও, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। ট্রাম্প বলেন, খামেনি ‘সহিংস ও অপমানজনক’ এক ব্যক্তিত্ব, যাকে তিনি বাঁচিয়েছেন একটি ‘নির্লজ্জ ও বোকামিপূর্ণ’ মিথ্যার কারণে। পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করার চেষ্টা করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র আবারও সেখানে বোমাবর্ষণ চালাবে।
গত সপ্তাহে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও, তার আগে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। জবাবে তেহরান কাতারে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। খামেনি এই হামলাকে ‘ওয়াশিংটনের গালে চড়’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে এবং তিনি জানতেন খামেনি কোথায় লুকিয়েছেন। তিনি আরও জানান, মার্কিন সামরিক বাহিনী খামেনির জীবন শেষ করার সুযোগ পেয়েও তা করেনি।
মার্কিন হামলার পর ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। ফাঁস হওয়া গোয়েন্দা প্রতিবেদন বলছে, হামলা ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম মাত্র কয়েক মাস পিছিয়ে দিয়েছে।
গতকাল হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরান যদি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যায়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ‘অবশ্যই’ নতুন করে হামলা করবে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, ইরান আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বা অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সংস্থাকে পারমাণবিক স্থাপনা পরিদর্শনের সুযোগ দেবে।
তবে ইরানের পার্লামেন্টে একটি বিল পাস হয়েছে, যার মাধ্যমে তারা আইএইএ’র সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করতে পারে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি জানিয়েছেন, তেহরান যেকোনো সময় পরিদর্শনের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে পারে।