মার্কিন অর্থনীতি সংকুচিত, ট্রাম্প দায় দিলেন বাইডেন প্রশাসনকে

“এটা বাইডেন, ট্রাম্প নয়”— অর্থনৈতিক সংকোচনের জন্য সাবেক প্রশাসনের নীতিকে দায়ী করলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি অপ্রত্যাশিতভাবে সংকুচিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমদানি বেড়ে যাওয়াই এর প্রধান কারণ। অনেকেই মনে করছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি কার্যকরের আগেই মার্কিন ভোক্তাদের মধ্যে বিদেশি পণ্য মজুতের প্রবণতা এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর আগাম আমদানির কারণেই এই সংকোচন ঘটেছে।
এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দেশের জনগণকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন এবং অর্থনীতির এই অবনতির জন্য পূর্ববর্তী বাইডেন প্রশাসনের নীতিকেই দায়ী করেছেন। তবে ব্যাপক আমদানি শুল্ক আরোপের কারণে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তা সত্ত্বেও তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, অচিরেই অর্থনীতি এবং তাঁর জনপ্রিয়তা পুনরুদ্ধার পাবে।
ইকোনমিক নিউজ সূত্রে এএফপি জানায়, ওয়াল স্ট্রিটের প্রধান তিনটি সূচকই পতনের মুখে পড়েছে, যেখানে নাসডাক সূচক ২ শতাংশের বেশি কমেছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘এটা বাইডেনের দোষ, আমার নয়।’ তিনি প্রথম প্রান্তিকে স্থায়ী বিনিয়োগ ২২ শতাংশ বৃদ্ধিকে একটি ‘চমৎকার অর্জন’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, বাইডেন প্রশাসনের সময় যুক্তরাষ্ট্রে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশের ওপরে ছিল এবং ২০২৪ সালে তা দাঁড়িয়েছিল ২.৮ শতাংশে। তবে ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে জিডিপি ০.৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা ২০২২ সালের পর প্রথমবারের মতো অর্থনীতির সংকোচনের ইঙ্গিত দেয়।
মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ জানায়, শুল্কনীতির হঠাৎ পরিবর্তনের ফলে আমদানি দ্রুত বেড়ে গেছে এবং এর ফলেই অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
রয়টার্স জানায়, দুই ঘণ্টাব্যাপী মন্ত্রিসভার বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘যদিও আমরা আগের প্রশাসন থেকে অর্থনীতি হস্তান্তর পেয়েছিলাম, তারপরও আমরা কিছু সংখ্যাকে ঘুরিয়ে দিয়েছি।’ এই বৈঠকটি সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়।
অন্যদিকে ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো বলেন, অর্থনীতির সংকোচনের পেছনে প্রধান কারণ হলো—বাণিজ্য শুল্ক কার্যকরের আগে ব্যাপক পণ্য আমদানি। তবে ট্রাম্প এক বিবৃতিতে দাবি করেছিলেন, শেয়ারবাজারে পতনের সঙ্গে শুল্কনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।
ট্রাম্প ইতোমধ্যে তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম ১০০ দিন সম্পন্ন করেছেন।