ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় নিহত ইরানের পুলিশপ্রধান

পুলিশের প্রধান মেজর হাবিবুল্লাহ আকবারিয়ান
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক ড্রোন হামলায় এবার ইরানের পুলিশপ্রধান নিহত হয়েছেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইএসএনএ জানিয়েছে, দেশটির হামেদান প্রদেশের আসাদাবাদ শহরে ড্রোন হামলায় পুলিশের প্রধান মেজর হাবিবুল্লাহ আকবারিয়ান এবং লেফটেন্যান্ট আমির হোসেইন সেইফি নিহত হয়েছেন। শহরটি রাজধানী তেহরান থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত।
এই হামলার ঘটনায় ইরানের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে একের পর এক ইসরায়েলি হামলার ফলে ইরানজুড়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতি মারাত্মকভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। শনিবার রাতে ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফরিন জানিয়েছেন, ইরানের ৪০টিরও বেশি সামরিক স্থাপনায় একযোগে ৭০টি বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এসব হামলার লক্ষ্য ছিল ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, সামরিক কমান্ড অবকাঠামো এবং অন্যান্য কৌশলগত স্থাপনা।
ডেফরিন বলেন, "আমাদের প্রাথমিক হামলার কারণে ডজনখানেক বিমান তেহরানের আকাশে অবাধে চলাচল করছে। আমরা পশ্চিম ইরান থেকে তেহরান পর্যন্ত আকাশসীমায় মুক্তভাবে অভিযান চালাতে পারছি।"
তিনি আরও জানান, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ও ড্রোনগুলো প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে তেহরানের আকাশে টহল দিয়েছে। "আমরা এমন এক অবস্থান তৈরি করেছি, যেখানে তেহরান পর্যন্ত আকাশে আমাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তেহরান এখন আর নিরাপদ নয়," বলেন তিনি।
ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ইরানে ৮০ জন নিহত এবং ৩২০ জন আহত হয়েছেন। অপরদিকে, ইরানের হামলায় ইসরায়েলের চারজন আহত হওয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকজন সামান্যভাবে আহত হয়েছেন।
ইসরায়েল এর আগে জানিয়েছিল, তারা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে "তেহরান পর্যন্ত অভিযান" চালাবে। সাম্প্রতিক ড্রোন হামলা এবং বিমান হামলা সে হুমকিরই বাস্তবায়ন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই হামলা এমন সময় ঘটল, যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সামরিক অভিযানের পরিমাণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এই পরিস্থিতি পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে একটি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে।