পণ্য খালাস কমে চট্টগ্রাম বন্দরে জমেছে ১১ হাজার কনটেইনার

চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস কমে ১১ হাজার কনটেইনার জমা, দ্রুত সমাধানের প্রয়োজন
চট্টগ্রাম, ১৩ জুন ২০২৫ — ঈদুল আজহার দীর্ঘ ছুটির কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস কমে যাওয়ায় বর্তমানে প্রায় ১১ হাজার কনটেইনার জমে রয়েছে। গত মে মাসে কাস্টমস কর্মকর্তাদের কলমবিরতি ও পরিবহন ধর্মঘটের ফলে বন্দরজটে সমস্যা দেখা দেওয়ার পর ছুটির সময় পণ্য খালাস কম হওয়ায় কনটেইনারের স্তূপ আরও বেড়েছে।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কনটেইনার রাখার ধারণক্ষমতার প্রায় ৮০ শতাংশ জায়গা ইতিমধ্যে ব্যবহার হয়ে গেছে এবং জায়গার সংকট ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কনটেইনারের জায়গা কমে গেলে খালাসসহ বন্দর পরিচালনায় বিলম্ব হতে পারে, যার ফলে ব্যবসায়ীরা পণ্য হাতে পেতে দেরির সম্মুখীন হবেন।
ঈদের ১০ দিন ছুটির মধ্যে প্রতিদিন ১০-১১টি জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানো নামানোর কাজ হয়েছে, কিন্তু ব্যবসায়ীরা খালাসে যথেষ্ট মনোযোগ না দেওয়ায় বন্দরে পণ্য জমে যেতে শুরু করেছে। ছুটি শুরুর আগে ৪ জুন বন্দরে ২৮ হাজার কনটেইনার ছিল, যা ১১ দিনের ছুটির মধ্যে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজারের বেশি।
চট্টগ্রাম বন্দরের মুখপাত্র মো. নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, ছুটির সময়ে বন্দর সচল থাকলেও খালাস কম হওয়ায় কনটেইনারের চাপ বাড়ছে। তিনি বলেন, "যদি দ্রুত পণ্য খালাস না করা হয়, তাহলে বন্দরের কার্যক্রমে জটিলতা দেখা দিতে পারে।"
স্বাভাবিক সময়ে দৈনিক গড়ে ৪ হাজারের বেশি কনটেইনার খালাস হয়, কিন্তু ছুটির সময় এটি কমে গড়ে ১,৩৭৭ কনটেইনারে নামিয়ে এসেছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ আশা করছে, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কার্যক্রম স্বাভাবিক হলে পণ্য খালাসের গতি বাড়বে এবং জট কমবে।
একজন ব্যবসায়ী জানান, পণ্য খালাসে কাস্টমসের কাজের স্বাভাবিকতা, সরকারি অনুমোদন ও পরিবহন সমস্যার কারণে ছুটির সময় খালাসে বিলম্ব হয়। বন্দর সূত্র বলেছে, ছুটির সময়ে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার স্বাভাবিক গতিতে বন্দর ছেড়ে গেছে, তাই জাহাজজট তুলনামূলক কম রয়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ আগামী রোববার থেকে কাস্টমসসহ সব অফিস খুললে পণ্য খালাসে গতি আসার প্রত্যাশা করছেন।