করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনক নয়, তবে সতর্ক রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ

দেশে করোনার সংক্রমণ বর্তমানে উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে প্রতিবেশী কিছু দেশে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সম্ভাব্য ঝুঁকি বিবেচনায় সরকার সতর্ক রয়েছে এবং পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

আজ বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আবু জাফর। উপস্থিত ছিলেন রোগনিয়ন্ত্রণ শাখা, হাসপাতাল শাখা, আইইডিসিআরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা।

অধ্যাপক জাফর জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৫৮ জন এবং জুন মাসের প্রথম ১০ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪ জন। সংখ্যাগুলো তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল। তবে থাইল্যান্ড, ভারত ও মালয়েশিয়ায় সংক্রমণ বেড়েছে বলে জানান সিডিসির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক মো. হালিমুর রশীদ।

আইইডিসিআরের একজন প্রতিনিধি বলেন, বর্তমানে দেশে অমিক্রন বা এর উপধরনগুলো ছড়াচ্ছে, যার উপসর্গ তীব্র নয়। তা সত্ত্বেও সতর্কতা জরুরি।

প্রস্তুতির তথ্য
অধ্যাপক জাফর জানান, সরকার ২৮ হাজার দ্রুত করোনা শনাক্তকরণ কিট সংগ্রহ করেছে এবং আরও ১০ হাজার আরটি-পিসিআর কিট আজই সরবরাহ করা হচ্ছে। এসব কিট দ্রুত বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হবে।

হাসপাতাল শাখার পরিচালক আবু হোসাইন মো. মইনুল আহসান বলেন, রাজধানীর ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে ৫০টি সাধারণ ও ১৫টি আইসিইউ শয্যা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। মুগদা, কুর্মিটোলা এবং খুলনা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আলাদা শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

টিকা ও জনসচেতনতা
১৭ লাখ ডোজ করোনা টিকা আগে থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়েছে। ৬০ বছরের বেশি বয়সী, দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম এমন ব্যক্তিরা অগ্রাধিকার পাবেন।

সংক্রমণ প্রতিরোধে সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরা, ভিড় এড়িয়ে চলা, হাঁচির শিষ্টাচার মেনে চলা এবং বারবার হাত ধোয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এইচএসসি পরীক্ষা ও রাজনৈতিক কর্মসূচি
এইচএসসি পরীক্ষা ও রাজনৈতিক কর্মসূচি সামনে রেখে সম্ভাব্য স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, অধ্যাপক জাফর জানান, পরীক্ষার্থীরা তরুণ, তাদের শুধু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই যথেষ্ট। রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ প্রযোজ্য।