মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি বাম গণতান্ত্রিক জোটের

‘মব সন্ত্রাসের’ বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান জানাচ্ছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা কেন্দ্রীয় সভায়।
লালমনিরহাট ও ঢাকায় সাম্প্রতিক ‘মব সন্ত্রাস’-এর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এ ঘটনায় সরকারের নিষ্ক্রিয়তা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকর ভূমিকার অভাবকেও সমালোচনা করেছে জোট।
বুধবার বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিষদের এক সভা থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই অবস্থান জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জোটের সমন্বয়ক এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী)–এর সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী।
নেতারা জানান, ২২ জুন লালমনিরহাটে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে এক দরিদ্র নরসুন্দর বাবা ও তাঁর ছেলেকে মারধর করে মবের হাতে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়। একই দিন ঢাকায় আওয়ামী লীগ–সমর্থিত কথিত নির্বাচনে সহায়তাকারী সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাকে জুতার মালা পরানো এবং মারধরের ঘটনা ঘটে।
বক্তারা বলেন, এ ধরনের মব সন্ত্রাস আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের জন্য সরাসরি হুমকি। তারা অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দশ মাসেও মব–সন্ত্রাস রোধে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। এমনকি সেনাবাহিনী প্রধানের বক্তব্যের পরও কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না, বরং পরিস্থিতি আরও আতঙ্কজনক হয়ে উঠেছে।
সভায় আরও বলা হয়, সরকার জনগণের বাকস্বাধীনতা দমন করলেও মব সন্ত্রাসে নীরব ভূমিকা পালন করছে। একইসঙ্গে নেতারা অভিযোগ করেন, সরকার এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে বন্দরের টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানিকে লিজ দেওয়া এবং রাখাইন করিডরের মতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে—যা জাতীয় স্বার্থবিরোধী।
চট্টগ্রামে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী রোডমার্চের প্রচারে ২৩ জুন পুলিশের বাধারও তীব্র নিন্দা জানানো হয়। নেতারা ২৭ ও ২৮ জুন ঢাকা-চট্টগ্রাম অভিমুখে রোডমার্চ সফল করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।