শনিবার ১৪ জুন ২০২৫, জ্যৈষ্ঠ ৩১ ১৪৩২, ১৭ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

ব্রেকিং

লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ১৩ জুন তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন: ফখরুল রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হবে কাঁচের মতো স্বচ্ছ ঘর: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাচনের ঘোষিত সময় মাথায় রেখে যথাসময়ে রোডম্যাপ দেবে ইসি: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ছাত্রদল নেতা নাছির উদ্দিন মণিপুরে আবার উত্তেজনা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের চাপে ঢাকার ৪ থানায় সক্রিয় অর্ধশতাধিক অপরাধী দল জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে: প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি: সালাহউদ্দিন আহমদ জুলাই সনদ–ঘোষণাপত্র হলে ঘোষিত সময়ে নির্বাচনে আপত্তি নেই: এনসিপি ২৫ কিলোমিটার যানজট, ২৪ ঘণ্টায় পারাপার ৬৪ হাজার যানবাহন বান্দরবানের রুমা ও থানচি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আংশিকভাবে প্রত্যাহার গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো, জাতিসংঘ নিরাপত্তা গরম মসলার বাজার শীতল: ক্রেতা কমে যাচ্ছে, দাম কিছুটা স্থিতিশীল ঈদে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দই-মিষ্টি মজুত, রংপুরে হিমাগারে অভিযান ও দুই লাখ টাকা জরিমানা বান্দরবানের লামায় পাহাড় ধসের শঙ্কায় ৬০ রিসোর্ট বন্ধ নির্বাচন নিয়ে তরুণদের প্রতি অসত্য অভিযোগ ও বাস্তবতা ভারতের মুসলমানদের কেন বারবার দেশপ্রেমের প্রমাণ দিতে হয় সংবিধান পরিবর্তন ছাড়া ফ্যাসিবাদ বিলোপ সম্ভব নয়: এনসিপি মুখ্য সমন্বয়ক একুশের বন্ধুত্বে আগামীর পথচলা: বার্ষিক সম্মেলনে ২১তম বিসিএস প্রশাসন ফোরাম বিজিএমইএ`র নতুন নেতৃত্বে আসছেন বাবু, নিরঙ্কুশ জয়ের ইঙ্গিত জিলহজ মাসের আমল ও কোরবানির তাৎপর্য চট্টগ্রামে নারীকে লাথির ঘটনায় ভাইরাল আকাশ চৌধুরী বহিষ্কৃত, জামায়াতের বিবৃতি সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেই, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিল পবিস শ্রমিকরা আনচেলত্তির স্বপ্ন - রিয়াল মাদ্রিদের মতো করে খেলাবেন ব্রাজিলকে ডিমের দাম এখনো চড়া, ডজন ১৩০–১৪০ টাকায় বিক্রি বৈরী আবহাওয়ার কারণে নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপের সঙ্গে সারাদেশের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ হারের পর লিটনের মনোভাব - এখনো দুই ম্যাচ বাকি কাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব জুয়েলারি দোকান বন্ধ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করবে ডিএনএ টেস্ট করে নামফলক ও মর্যাদা চায় শহীদ পরিবারের সদস্যরা বেতন না পেয়ে ডাকাতি, জাহাজের চিফ ইঞ্জিনিয়ারসহ তিনজন আটক “বাংলাদেশে কৌশলগত স্বার্থ নেই দক্ষিণ কোরিয়ার”—রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক “শাপলার হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই”—হেফাজতের বিবৃতি মির্জা আব্বাস: “করিডর আর স্টারলিংক আনা হচ্ছে আরাকান আর্মির জন্য” জিলহজ মাসের চাঁদ দেখে যে দোয়া পড়বেন নির্বাচনের আগে যতটুকু দরকার, ততটুকুই সংস্কার করতে হবে: মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ‘চিন্তার স্বাধীনতাও হারাচ্ছি?’— নারী কমিশন বিতর্কে গীতিআরার উদ্বেগ ইউক্রেনে রাশিয়ার টানা হামলায় নিহত ১২, কঠোর চাপের আহ্বান জানালেন জেলেনস্কি সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন – তিনটি কঠিন দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট আমরা জুলাই অভ্যুত্থান ক্ষমতার পালাবদল নয়, এটি মৌলিক সংস্কার: নাহিদ হলুদ সাংবাদিকতা’ বিরোধী স্লোগানে উত্তাল শিক্ষক মিছিল ভারতের নিষেধাজ্ঞায় আখাউড়া বন্দর দিয়ে রপ্তানি কমেছে ৪০% বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলছে, দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি জাতীয় স্বার্থে অভিমান ভুলে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান : জামায়াত আমির আন্দোলনের পর অবশেষে নিয়োগ পেলেন ৪৩তম বিসিএসের বাদ পড়া ১৬২ জন নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে ইসির সামনে এনসিপির বিক্ষোভ কাল বাংলাদেশে স্টারলিংকের যাত্রা, স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের নতুন যুগ শুরু নরওয়ের দৃঢ় সমর্থন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বিগত সরকারের সময় প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত, এমন অবস্থা ছিল যে খতিবকেও পালাতে হয়েছিল: বাণিজ্য উপদেষ্টা গায়ের জোরে নগর ভবন দখল করে আন্দোলন চালাচ্ছে বিএনপি আবারও রাজপথে নামার ইঙ্গিত আসিফের, সতর্ক করলেন হাসনাত গোপন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন স্থগিত, ২০ মে আলোচনায় বসবে ঐক্য পরিষদ ভারতের আমদানি নিষেধাজ্ঞা সীমান্ত বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে ভারতের নতুন সিদ্ধান্তে উত্তর-পূর্বাঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশি ভোগ্যপণ্য আমদানি বন্ধ গত ৯ মাসে জুলাই-যোদ্ধাদের ওপর ৩৮টি হামলা জবি’র ৪ দফা দাবি মেনে নেওয়ায় আন্দোলনের সমাপ্তি ঘোষণা ডিবি থেকে মুক্তির পর আন্দোলনে উল্লাস জবি শিক্ষার্থীর গাজা দখলে নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা পুনর্ব্যক্ত করলেন ট্রাম্প শাহরিয়ার হত্যাকাণ্ডে বিচার নিশ্চিতের অঙ্গীকার উপদেষ্টা আসিফের সোনার দাম ভরিতে কমল ৩ হাজার ৪৫২ টাকা, নতুন দর কার্যকর শুক্রবার থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: নিরাপত্তা নিশ্চিতে বড় পদক্ষেপ প্রশাসনের আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধে ভারতের উদ্বেগ শ্রীনগরজুড়ে বিস্ফোরণ, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওমর আব্দুল্লাহর উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত: আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ ‘চলবে’, শনিবার গণজমায়েত ড্রোন যুদ্ধ: ভারত-পাকিস্তান বিরোধের নতুন অধ্যায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সরকার গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আ.লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ ছাড়বেন না আন্দোলনকারীরা ‘আপ বাংলাদেশ’–এর আত্মপ্রকাশ পূর্বঘোষণা ছাড়া ভারত সফরে সৌদি প্রতিমন্ত্রী, পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনায় কূটনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে সারা দেশ থেকে ঢাকা অভিমুখে মার্চের হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের দেশীয় ওষুধ কোম্পানি রেনাটাকে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে আইএফসি তারেক রহমান: সরকার হয়তো স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগে সহায়তা করছে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতের নির্দেশে ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল ইউটিউবে বন্ধ

পর্যটন

মুরেন: মনোমুগ্ধকর গাড়িমুক্ত গ্রাম

 প্রকাশিত: ২০:১১, ১৭ মার্চ ২০২৫

মুরেন: মনোমুগ্ধকর গাড়িমুক্ত গ্রাম

মুরেন

সুইজারল্যান্ডের বার্নিজ ওবারল্যান্ড অঞ্চলে অবস্থিত মুরেন একটি ছোট, কিন্তু অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর, গাড়িমুক্ত গ্রাম। এই গ্রামটি সম্পূর্ণভাবে যানবাহন মুক্ত, যেখানে কেবল পায়ে হাঁটা, সাইকেল বা কেবল কারের মাধ্যমে চলাচল করা হয়। মুরেনের বিশেষত্ব তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, শীতল পরিবেশ এবং পাহাড়ি এলাকা, যা পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ। একসময় মুরেন সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন ছিল, কিন্তু বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে খাড়া কেবল কার শিলথোর্নবাহন চালু হওয়ার মাধ্যমে মুরেনটি এখন সহজেই পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।

গাড়িমুক্ত মুরেনের জীবনের স্বাদ
মুরেনের জীবন সম্পূর্ণ আলাদা, যেখানে পরিবেশ দূষণ এবং যানজটের সমস্যার কোনো অস্তিত্ব নেই। গাড়ি না থাকার কারণে গ্রামের পরিবেশ বিশুদ্ধ এবং শান্ত। এখানকার বাসিন্দারা প্রতিদিন তাদের দৈনন্দিন কাজকর্মে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে চলেন। এখানকার জীবনযাত্রা শান্ত এবং মনোরম, যেখানে গ্রামবাসীরা একে অপরকে চেনেন এবং তাদের মধ্যে একটি অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। মুরেনের জীবনে সত্যিই এক ধরনের নিরবতা এবং শান্তির অনুভূতি আছে, যা এখানে আসা যে কোনো পর্যটককেই আকৃষ্ট করে।

পর্যটকদের জন্য মুরেন
মুরেন তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং শান্ত পরিবেশের জন্য একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। এখানে আসলে পর্যটকরা বিশেষভাবে সুউচ্চ পর্বতশ্রেণি, কাঠের তৈরি আদিবাসী বাড়ি, ঘন অরণ্য, এবং তুষারময় পাহাড়ের দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন। শহর থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা সত্ত্বেও, মুরেন এখন শিলথোর্নবাহন কেবল কারের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের সাথে যুক্ত হয়েছে। এর ফলে, পর্যটকরা সহজেই মুরেন পৌঁছাতে পারছেন। এখানে অবস্থিত হোটেল, রেস্টুরেন্ট এবং ছোট দোকানগুলো পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় এবং তাদের প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য সর্বদা প্রস্তুত। গ্রামে হাঁটার পথ, খাঁটি সুইস চকলেট এবং স্থানীয় ঐতিহ্য পর্যটকদের খুবই আনন্দিত করে।

স্কিয়িংয়ের ঐতিহ্য ও ক্রীড়াপ্রেম
মুরেন শুধু তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেই বিখ্যাত নয়, বরং স্কিয়িংয়ের জন্যও একটি ঐতিহ্যগত কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। স্কিয়িংয়ের প্রতি গভীর ভালোবাসা এই অঞ্চলে শতাব্দীজুড়ে চলে আসছে। ব্রিটিশ স্কিয়াররা ১৮৯০-এর দশকে মুরেনের পাহাড়ি অঞ্চলটি আবিষ্কার করেন এবং এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও স্কিয়িংয়ের উপযোগিতা দেখে এখানে আসা শুরু করেন। পরবর্তীতে, মুরেনের স্থানীয় স্কিইং ক্লাব এবং প্রথম স্লালোম রেসের আয়োজনের মাধ্যমে এটি বিশ্বের স্কিয়িং ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠে। আজও, মুরেনের স্নো কভারের মধ্যে ৫৪ কিলোমিটার স্কি রেসপোর্ট এবং বিভিন্ন স্কি ট্রেইল রয়েছে, যা স্কিয়িং প্রেমীদের জন্য আদর্শ গন্তব্য।

গ্রীষ্মের মুরেন: আরও এক আকর্ষণ
শীতকাল ছাড়া গ্রীষ্মেও মুরেনের সৌন্দর্য আলাদা। গ্রীষ্মে, মুরেনের মনোরম পরিবেশ, পাহাড়ি অঞ্চল, প্রাকৃতিক ফুলের গন্ধ এবং সাফারি ট্রেইলগুলো পর্যটকদের জন্য এক নতুন অভিজ্ঞতা তৈরি করে। এখানকার ফুলে ফুলে সাজানো পাহাড়ি পথ, তাজা হাওয়ার মধ্যে হাঁটা, এবং আশেপাশের সবুজ প্রাকৃতিক দৃশ্য মানুষকে মোহিত করে। গ্রীষ্মকালে মুরেন প্যারাগ্লাইডিং এবং পাহাড়ে হাঁটার জন্য জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে ওঠে, যেখানে পর্যটকরা সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন। গ্রীষ্মে এখানে পৌঁছালে আরও এক ধরনের শান্তি এবং নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করা যায়, যা শীতের মৌসুমে পাওয়া যায় না।

মুরেন, একটি ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম, আজও তার অতীতের ঐতিহ্য এবং আধুনিক সুবিধার মধ্যে একটি চমৎকার সংমিশ্রণ তৈরি করেছে, যা সবার জন্য আকর্ষণীয়।