ঘরে ফিরেই রাস্তায় খুন, রাজবাড়ীতে যুবদল কর্মীর মৃত্যু

নিহত রাশেদুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় রাশেদুল ইসলাম (৩৩) নামের এক যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (৩ মে) দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সকালে পাংশার পাট্টা ইউনিয়নের নিভা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পূর্ববিরোধের জেরে রাশেদুলের ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। তারা ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং সেখান থেকে ফরিদপুর মেডিকেলে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
রাশেদুল ইসলাম পাট্টা গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি দুই সন্তানের বাবা—একজন ছয় মাস বয়সী ছেলে ও পাঁচ বছরের মেয়ে।
নিহতের ভগ্নিপতি ফজলুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘দুই বছর আগে ইসলাম নামে এক ব্যক্তি রাশেদুলকে সাত হাজার টাকা ধার দিয়েছিলেন, যা সুদসহ ফেরত দেওয়ার পরও বারবার আরও অর্থ দাবি করতেন। টাকা না দেওয়ায় চায়ের দোকান ও বাড়িতে হামলা চালান ইসলাম। এ কারণে রাশেদুল পরিবারসহ আমার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ফিরে আসার পর থেকেই হত্যার হুমকি পেতেন।’
স্থানীয়রা জানান, রাশেদুল ধান কাটা শ্রমিকের দল নিয়ে বরিশাল এলাকায় কাজ শেষে গত রাতে বাড়ি ফেরেন। শনিবার সকাল ১০টার দিকে ধান ভাগাভাগির জন্য রুপিয়াট গ্রামে যাওয়ার পথে তাকে হত্যা করা হয়।
পাট্টা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি জহিরুল আলম মুরাদ বিশ্বাস জানান, নিহত রাশেদুল যুবদলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, পূর্ববিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় খালিদ হাসান (৩০) নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।