গাজায় হামাস নেতা মোহাম্মদ সিনওয়ারের মৃতদেহ শনাক্তের দাবি ইসরায়েলের

গাজায় হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ সিনওয়ারের মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া ও তা শনাক্ত করার দাবি করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
রোববার এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানায়, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস শহরের ইউরোপীয় হাসপাতালের নিচে একটি সুড়ঙ্গ থেকে সিনওয়ারের দেহ উদ্ধার করা হয়। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানায় তারা।
তবে এখন পর্যন্ত হামাসের পক্ষ থেকে মোহাম্মদ সিনওয়ারের মৃত্যুর বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ৪৯ বছর বয়সী সিনওয়ার গত ১৩ মে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হন। ওই হামলায় অন্তত ২৮ জন নিহত এবং আরও অনেকেই আহত হন বলে জানিয়েছিল হামাস-পরিচালিত গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি।
আইডিএফ আরও জানিয়েছে, সিনওয়ারের দেহের পাশেই পাওয়া গেছে হামাসের রাফা ব্রিগেডের কমান্ডার মোহাম্মদ সাবানেহ-এর মৃতদেহ। তাদের সঙ্গে কিছু ব্যক্তিগত জিনিসপত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, ওই সুড়ঙ্গের আরও অংশে একাধিক মৃতদেহ পাওয়া গেছে, যেগুলোর পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। রোববার ইসরায়েলি সেনারা কিছু সাংবাদিককে সুড়ঙ্গটি সরেজমিনে ঘুরে দেখায় এবং একটি ভিডিও প্রকাশ করে।
ভিডিওতে দেখা যায়, মাটির নিচে সরু একটি করিডোর দিয়ে প্রবেশ করলে ভেতরে ছোট ছোট কক্ষ, যেখানে পড়ে আছে কাপড়ের স্তুপ, প্লাস্টিকের চেয়ার, দেয়ালে ঠেস দিয়ে রাখা রাইফেল। আরেকটি দৃশ্যে দেখা গেছে কাপড়ে মোড়া একটি মৃতদেহ সুড়ঙ্গ থেকে বের করে আনা হচ্ছে।
আইডিএফ মুখপাত্র জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গের একটি কক্ষ থেকেই মোহাম্মদ সিনওয়ারের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মোহাম্মদ সিনওয়ার ছিলেন হামাসের সাবেক প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছোট ভাই। ইয়াহিয়ার মৃত্যুর পর তিনি গাজায় হামাসের ডি-ফ্যাক্টো প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দাবি, মোহাম্মদ সিনওয়ারও ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে চালানো হামলার অন্যতম মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন। তিনি ২০১৬ সাল পর্যন্ত খান ইউনিস ব্রিগেডের কমান্ডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।