ঢাবিতে চাকরির স্বচ্ছতা দাবিতে আন্দোলন, মাঠে নামলেন শিক্ষার্থীরা

১১ দফা দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন চাকরি প্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতসহ ১১ দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২ জুন) ‘চাকরি সংস্কার আন্দোলন’ ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, শুধু কোটা সংস্কার করলেই চাকরিতে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ নিশ্চিত হয় না, বরং পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জালাল আহমদ বলেন, “আমরা ২০১৩, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে কোটা পদ্ধতি ৫৬% থেকে ৭%-এ নামিয়ে আনতে পেরেছি। কিন্তু এখনো মেধাবী শিক্ষার্থীরা দুর্নীতির কারণে চাকরি পান না। তাই প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভার নম্বরসহ ফলাফল প্রকাশ বাধ্যতামূলক করতে হবে।”
অবস্থান ধর্মঘটে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক সরদার নাদিম মাহমুদ শুভ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়েজিদ খান উল্লাস, গণিত বিভাগের এম এ হানিফ নোমান, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোহাম্মদ আলী, ন্যাশনাল লেবার পার্টির মুখপাত্র মো. শরীফুল ইসলাম এবং সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক মোস্তফা আল ইহযায।
তারা যে ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন তা হলো:
১. চাকরির ফলাফল নম্বরসহ প্রকাশ
২. মানসম্মত প্রশ্নপত্র প্রণয়ন
৩. পুলিশ ভেরিফিকেশনে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ
৪. নন-ক্যাডার বিধি-২০২৩ সংশোধন
৫. কাট মার্ক ও উত্তর ওয়েবসাইটে প্রকাশ
৬. দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে পিএসসি গঠন
৭. একাধিক সমমানের পরীক্ষার সময়মিল এড়াতে মনিটরিং সেল
৮. পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ‘মাইগ্রেশন স্টাইল’ চালু
৯. ভাইভার আগে ক্যাডার পছন্দ দেওয়ার সুযোগ
১০. স্বল্প খরচে খাতা পুনঃনিরীক্ষণের সুযোগ
১১. ত্রুটিপূর্ণ ও পক্ষপাতদুষ্ট নিয়োগ বাতিল
চাকরিপ্রত্যাশীরা জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১১ জুন পর্যন্ত ময়দানে আন্দোলন স্থগিত থাকবে। তবে অনলাইন কার্যক্রম চলবে।