১০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি, কাঁচামাল আমদানিতে ব্যয় ৪ বিলিয়ন

২০২৪-২৫ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে তৈরি পোশাক খাত থেকে ১০.৩৪ বিলিয়ন ডলার আয়, কিন্তু কাঁচামাল আমদানিতে খরচ ৪.২৫ বিলিয়ন ডলার।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) বাংলাদেশ ১০ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। এই সময়ের মধ্যে কাঁচামাল আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৪ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার। ফলে প্রান্তিকটিতে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে দেশের মূল্য সংযোজনের হার দাঁড়ায় ৫৮ দশমিক ৯০ শতাংশ, যা আগের প্রান্তিকের ৬১ শতাংশ থেকে কিছুটা কম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে দেখা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকের পর থেকে রপ্তানিতে মূল্য সংযোজন ৬০ শতাংশের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক নিট রপ্তানির হিসাব করতে গিয়ে তুলা, সুতা, কাপড় ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ আমদানির খরচ বাদ দেয়। কেউ কেউ এই নিট রপ্তানিকেই তৈরি পোশাক খাতের প্রকৃত আয় বা মূল্য সংযোজন হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন।
এর আগে, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) কয়েকটি প্রান্তিকে রপ্তানির পরিমাণ বেশি দেখানোর কারণে মূল্য সংযোজনের হারও কৃত্রিমভাবে বৃদ্ধি পায়। এই গড়মিল ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক চিহ্নিত করে এবং পরিসংখ্যানে সংশোধনী আনে। এর ফলে পূর্বের সাতটি প্রান্তিকে রপ্তানি খাতে মূল্য সংযোজনের হার সংশোধনের মাধ্যমে কমিয়ে ধরা হয়।
উদাহরণস্বরূপ, ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে তৈরি পোশাক খাতে মূল্য সংযোজন একবারে ৫৯ শতাংশ থেকে ৬৭ শতাংশে পৌঁছায়। তবে সংশোধনের পর জানুয়ারি-জুন প্রান্তিকে সেটি কমে ৬২ শতাংশে দাঁড়ায়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চার প্রান্তিকে এই হার আরও কমে ৫৭ দশমিক ৫ থেকে ৬১ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে ছিল।
চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ছিল ৯৫১ কোটি ডলারের রপ্তানি ও ৩৮৪ কোটি ডলারের কাঁচামাল আমদানির প্রান্তিক, যেখানে মূল্য সংযোজন দাঁড়ায় ৫৯ শতাংশ। দ্বিতীয় প্রান্তিকে রপ্তানি বেড়ে হয় ১ হাজার ৩৭ কোটি ডলার, কাঁচামাল আমদানি হয় ৪০৪ কোটি ডলার, আর মূল্য সংযোজন দাঁড়ায় ৬১ শতাংশে।