গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী জাহাজে কারা আছেন এবং এতে কী কী ত্রাণ রয়েছে

গাজায় মানবিক সংকটে ত্রাণ পৌঁছে দিতে ইতালি থেকে ‘ম্যাডলিন’ জাহাজ রওনা, মানবাধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ ১২ জন শান্তিপ্রিয় সদস্য রয়েছেন।
১ জুন ইতালির সিসিলির কাতানিয়া শহর থেকে আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) পরিচালিত ‘ম্যাডলিন’ নামের একটি ত্রাণবাহী জাহাজ গাজার পথে রওনা হয়েছে। জাহাজটি গাজার ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছে। এতে গাজার অবরোধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে কয়েকজন মানবাধিকারকর্মীও রয়েছেন।
গত ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজায় সম্পূর্ণ ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে, যার ফলে অনেক শিশু অনাহারে মারা গেছে। ত্রাণ প্রবেশে বাধা প্রদানের প্রতিবাদ হিসেবে ‘ম্যাডলিন’ যাত্রা শুরু করেছে।
গাজার ২৩ লাখের অধিক বাসিন্দার মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি তীব্র খাদ্য সংকটে রয়েছে, বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থার হিসাব অনুযায়ী।
‘ম্যাডলিন’ জাহাজটির নামকরণ গাজার প্রথম ও একমাত্র নারী মৎস্যজীবী ‘ম্যাডলিন’র নামে করা হয়েছে। ইতালির সিসিলির কাতানিয়া থেকে ১ জুন যাত্রা শুরু করা এই জাহাজটি প্রায় ৭ দিন পর গন্তব্যে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে।
জাহাজে থাকা ১২ জন মানবাধিকারকর্মীর মধ্যে রয়েছেন সুইডেনের পরিবেশ কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ফরাসি ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য রিমা হাসান, জার্মানির ইয়াসেমিন আচার, ফ্রান্সের ব্যাপতিস্ত আন্দ্রে, ব্রাজিলের থিয়াগো আভিলা ও আরও কয়েকজন।
এফএফসি জানিয়েছে, জাহাজে থাকা স্বেচ্ছাসেবক ও নাবিকরা শান্তিপূর্ণ ও অসহিংস কর্মসূচির অংশ হিসেবে গাজায় ইসরায়েলের অবরোধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
গত মাসে গাজার উদ্দেশে আরেকটি ত্রাণবাহী জাহাজ মাল্টার উপকূলে ড্রোন হামলার শিকার হয়েছিল। ওই হামলায় জাহাজটির ইঞ্জিনে আগুন ধরে গিয়েছিল।
জাহাজটিতে বহনকৃত ত্রাণের মধ্যে রয়েছে চিকিৎসা সরঞ্জাম, ময়দা, চাল, শিশুদের দুধ (বেবি ফর্মুলা), ডায়াপার, নারীদের স্যানিটারি পণ্য, পানি বিশুদ্ধকরণ কিট, ক্রাচ ও শিশুদের কৃত্রিম অঙ্গ।
ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজার ৯৩ শতাংশ মানুষ তীব্র খাদ্য সংকটে রয়েছে। এই অবরোধ অব্যাহত থাকলে গাজার মানুষদের জীবন ভয়াবহ সংকটে পড়তে পারে।
গত বছর ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় শুরু হওয়া সামরিক অভিযানে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ৫৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।