পহেলগাম হামলার পর সেনাবাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিলেন মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
কাশ্মীরের পহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সশস্ত্র বাহিনীকে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল অনিল চৌহানের সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। মোদি জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের বিষয়ে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তিনি সেনাবাহিনীর ওপর পূর্ণ আস্থা রাখেন।
এই হামলাকে ২০১৯ সালের পুলওয়ামা ঘটনার পর সবচেয়ে ভয়াবহ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারত পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা চালিয়েছিল। এবারও পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার নাম উঠে এসেছে।
এ হামলার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক চাপ বৃদ্ধি করেছে। পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে (হিন্দু ও দীর্ঘমেয়াদি ভিসাধারী বাদে) এবং সিন্ধু পানি চুক্তিও স্থগিত করা হয়েছে, যা পাকিস্তানকে ৮৫ শতাংশ পানি সরবরাহ করে। পাকিস্তান ভারতের এই পদক্ষেপকে ‘যুদ্ধের শামিল’ বলে অভিহিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি কড়া বার্তায় বলেন, সন্ত্রাসের অভিশাপ মিটিয়ে দেওয়া হবে এবং ১৪০ কোটি ভারতীয়ের ইচ্ছাশক্তি সন্ত্রাসে মদদদাতাদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে। এই বিবৃতি ও সামরিক স্বাধীনতা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য জবাবি পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছে।