বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫, জ্যৈষ্ঠ ২২ ১৪৩২, ০৮ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

ব্রেকিং

বান্দরবানের লামায় পাহাড় ধসের শঙ্কায় ৬০ রিসোর্ট বন্ধ নির্বাচন নিয়ে তরুণদের প্রতি অসত্য অভিযোগ ও বাস্তবতা ভারতের মুসলমানদের কেন বারবার দেশপ্রেমের প্রমাণ দিতে হয় সংবিধান পরিবর্তন ছাড়া ফ্যাসিবাদ বিলোপ সম্ভব নয়: এনসিপি মুখ্য সমন্বয়ক একুশের বন্ধুত্বে আগামীর পথচলা: বার্ষিক সম্মেলনে ২১তম বিসিএস প্রশাসন ফোরাম বিজিএমইএ`র নতুন নেতৃত্বে আসছেন বাবু, নিরঙ্কুশ জয়ের ইঙ্গিত জিলহজ মাসের আমল ও কোরবানির তাৎপর্য চট্টগ্রামে নারীকে লাথির ঘটনায় ভাইরাল আকাশ চৌধুরী বহিষ্কৃত, জামায়াতের বিবৃতি সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেই, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিল পবিস শ্রমিকরা আনচেলত্তির স্বপ্ন - রিয়াল মাদ্রিদের মতো করে খেলাবেন ব্রাজিলকে ডিমের দাম এখনো চড়া, ডজন ১৩০–১৪০ টাকায় বিক্রি বৈরী আবহাওয়ার কারণে নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপের সঙ্গে সারাদেশের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ হারের পর লিটনের মনোভাব - এখনো দুই ম্যাচ বাকি কাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব জুয়েলারি দোকান বন্ধ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করবে ডিএনএ টেস্ট করে নামফলক ও মর্যাদা চায় শহীদ পরিবারের সদস্যরা বেতন না পেয়ে ডাকাতি, জাহাজের চিফ ইঞ্জিনিয়ারসহ তিনজন আটক “বাংলাদেশে কৌশলগত স্বার্থ নেই দক্ষিণ কোরিয়ার”—রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক “শাপলার হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই”—হেফাজতের বিবৃতি মির্জা আব্বাস: “করিডর আর স্টারলিংক আনা হচ্ছে আরাকান আর্মির জন্য” জিলহজ মাসের চাঁদ দেখে যে দোয়া পড়বেন নির্বাচনের আগে যতটুকু দরকার, ততটুকুই সংস্কার করতে হবে: মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ‘চিন্তার স্বাধীনতাও হারাচ্ছি?’— নারী কমিশন বিতর্কে গীতিআরার উদ্বেগ ইউক্রেনে রাশিয়ার টানা হামলায় নিহত ১২, কঠোর চাপের আহ্বান জানালেন জেলেনস্কি সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন – তিনটি কঠিন দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট আমরা জুলাই অভ্যুত্থান ক্ষমতার পালাবদল নয়, এটি মৌলিক সংস্কার: নাহিদ হলুদ সাংবাদিকতা’ বিরোধী স্লোগানে উত্তাল শিক্ষক মিছিল ভারতের নিষেধাজ্ঞায় আখাউড়া বন্দর দিয়ে রপ্তানি কমেছে ৪০% বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলছে, দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি জাতীয় স্বার্থে অভিমান ভুলে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান : জামায়াত আমির আন্দোলনের পর অবশেষে নিয়োগ পেলেন ৪৩তম বিসিএসের বাদ পড়া ১৬২ জন নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে ইসির সামনে এনসিপির বিক্ষোভ কাল বাংলাদেশে স্টারলিংকের যাত্রা, স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের নতুন যুগ শুরু নরওয়ের দৃঢ় সমর্থন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বিগত সরকারের সময় প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত, এমন অবস্থা ছিল যে খতিবকেও পালাতে হয়েছিল: বাণিজ্য উপদেষ্টা গায়ের জোরে নগর ভবন দখল করে আন্দোলন চালাচ্ছে বিএনপি আবারও রাজপথে নামার ইঙ্গিত আসিফের, সতর্ক করলেন হাসনাত গোপন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন স্থগিত, ২০ মে আলোচনায় বসবে ঐক্য পরিষদ ভারতের আমদানি নিষেধাজ্ঞা সীমান্ত বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে ভারতের নতুন সিদ্ধান্তে উত্তর-পূর্বাঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশি ভোগ্যপণ্য আমদানি বন্ধ গত ৯ মাসে জুলাই-যোদ্ধাদের ওপর ৩৮টি হামলা জবি’র ৪ দফা দাবি মেনে নেওয়ায় আন্দোলনের সমাপ্তি ঘোষণা ডিবি থেকে মুক্তির পর আন্দোলনে উল্লাস জবি শিক্ষার্থীর গাজা দখলে নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা পুনর্ব্যক্ত করলেন ট্রাম্প শাহরিয়ার হত্যাকাণ্ডে বিচার নিশ্চিতের অঙ্গীকার উপদেষ্টা আসিফের সোনার দাম ভরিতে কমল ৩ হাজার ৪৫২ টাকা, নতুন দর কার্যকর শুক্রবার থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: নিরাপত্তা নিশ্চিতে বড় পদক্ষেপ প্রশাসনের আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধে ভারতের উদ্বেগ শ্রীনগরজুড়ে বিস্ফোরণ, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওমর আব্দুল্লাহর উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত: আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ ‘চলবে’, শনিবার গণজমায়েত ড্রোন যুদ্ধ: ভারত-পাকিস্তান বিরোধের নতুন অধ্যায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সরকার গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আ.লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ ছাড়বেন না আন্দোলনকারীরা ‘আপ বাংলাদেশ’–এর আত্মপ্রকাশ পূর্বঘোষণা ছাড়া ভারত সফরে সৌদি প্রতিমন্ত্রী, পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনায় কূটনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে সারা দেশ থেকে ঢাকা অভিমুখে মার্চের হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের দেশীয় ওষুধ কোম্পানি রেনাটাকে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে আইএফসি তারেক রহমান: সরকার হয়তো স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগে সহায়তা করছে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতের নির্দেশে ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল ইউটিউবে বন্ধ

আন্তর্জাতিক

উইঘুর যোদ্ধারা সিরীয় বাহিনীতে, বেইজিং উদ্বিগ্ন

 প্রকাশিত: ২৩:৩৩, ৩ জুন ২০২৫

উইঘুর যোদ্ধারা সিরীয় বাহিনীতে, বেইজিং উদ্বিগ্ন

নতুন গঠিত ইউনিটে সাবেক জিহাদিদের যুক্ত করা হবে। ছবি: রয়টার্স

বিদেশি সাবেক জিহাদি বিদ্রোহীদের সিরিয়ার সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার সরকারি পরিকল্পনায় যুক্তরাষ্ট্র সম্মতি দিয়েছে, যদিও এতে চীনসহ একাধিক দেশের উদ্বেগ বাড়ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সিরিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত থমাস বারাক জানিয়েছেন, সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগে ওয়াশিংটন ‘স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খল প্রক্রিয়ার’ শর্তে সমর্থন জানিয়েছে।

সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তিন কর্মকর্তার বরাতে জানা গেছে, নতুন গঠিত ৮৪তম সেনা ডিভিশনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে প্রায় ৩,৫০০ বিদেশি সাবেক জিহাদি যোদ্ধাকে। এর মধ্যে অধিকাংশই চীনের উইঘুর মুসলিম এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলো থেকে আগত। এই ইউনিটে সিরীয় সেনারাও থাকবেন।

থমাস বারাক বলেন, “এই যোদ্ধারা এখন সিরিয়ার নতুন সরকারের প্রতি অনুগত। তাদের রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত করা না হলে তারা চরমপন্থি গোষ্ঠীর দিকে ফিরে যেতে পারে।”

২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া যুদ্ধে বিদেশি যোদ্ধারা সিরিয়ায় প্রবেশ করে এবং পরে আল-কায়েদার শাখা হায়াত তাহরির আল-শাম (HTS)-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। এইচটিএস ২০২৪ সালে আসাদকে উৎখাত করে ক্ষমতায় আসে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমা বিশ্ব HTS-এর চরমপন্থি ইউনিটগুলোর কারণে উদ্বিগ্ন ছিল।

যুক্তরাষ্ট্র এতদিন সিরিয়ার নতুন সরকারকে বিদেশি যোদ্ধাদের সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত না করতে চাপ দিচ্ছিল। তবে গত মাসে সৌদি আরবে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে বৈঠকের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আসাদ যুগের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সম্মতি দেন, এবং এরপরই ওয়াশিংটনের নীতিগত অবস্থান পরিবর্তন হয়।

এই পরিকল্পনায় সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন চীন, কারণ অন্তর্ভুক্ত হতে যাওয়া অনেক যোদ্ধা উইঘুর মুসলিম, যারা একসময় তুর্কিস্তান ইসলামি পার্টি (TIP)-এর সদস্য ছিলেন। বেইজিং এই সংগঠনটিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “সিরিয়া যেন আন্তর্জাতিক উদ্বেগের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে এবং সন্ত্রাস ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।”

TIP-এর রাজনৈতিক কর্মকর্তা ওসমান বুগরা জানিয়েছেন, “আমাদের সংগঠন আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত। আমরা এখন সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনেই কাজ করছি। কোনো আন্তর্জাতিক সংগঠনের সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক নেই।”

প্রেসিডেন্ট আহমেদ শারা জানিয়েছেন, যারা আসাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে কিন্তু এখন নতুন সরকারকে সমর্থন করছে, তাদের নাগরিকত্বসহ সামাজিক অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা চলছে।

দামেস্কভিত্তিক জিহাদি বিশ্লেষক আব্বাস শরিফা বলেন, “এই যোদ্ধারা আদর্শগতভাবে পরিশোধিত এবং নতুন সরকারের প্রতি আনুগত হলেও, তাদের বাদ দিলে তারা আইএস বা আল-কায়েদার মতো গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।”

যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপীয় দেশগুলো এখনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে কূটনৈতিক সূত্রগুলো মনে করছে, ওয়াশিংটনের এই নমনীয়তা কৌশলগত, যার লক্ষ্য সিরিয়ার নতুন সরকারকে মূলধারায় ফিরিয়ে আনা এবং চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলোর পুনরুত্থান ঠেকানো।