পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ প্রবাহ ১৫ জুন, প্রস্তুত রূপপুর প্রকল্প

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সফলভাবে জাতীয় গ্রিডের সঞ্চালন লাইনের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। সোমবার (২ জুন) বিকেলে রূপপুর-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে এই সংযোগ সম্পন্ন হয়।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) নির্বাহী প্রকৌশলী এনায়েত করিম জানান, এই সংযোগের মাধ্যমে দেশের জাতীয় গ্রিড ব্যবস্থাপনায় একটি বড় অগ্রগতি অর্জিত হলো। প্রায় ১৫৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সঞ্চালন লাইনের মোট টাওয়ার সংখ্যা ৪১৪টি।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৫ জুন এনার্জাইজেশন (পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ প্রবাহ) করা হবে, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে, সঞ্চালন লাইনে কোনো ত্রুটি নেই।
রূপপুর কেন্দ্রের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালনের জন্য ৪০০ কেভির চারটি ও ২৩০ কেভির চারটি—মোট আটটি সঞ্চালন লাইনের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে:
৪০০ কেভির লাইনের মধ্যে: রূপপুর-বগুড়া (চালু: ৩০ এপ্রিল ২০২৪), রূপপুর-গোপালগঞ্জ (চালু: ২ জুন ২০২৫), রূপপুর-আমিনবাজার-কালিয়াকৈর (ডাবল সার্কিট, চলমান)
২৩০ কেভির লাইনের মধ্যে: রূপপুর-বাঘাবাড়ি (চালু: ৩০ জুন ২০২২), রূপপুর-ধামরাই (চলমান)
এই চারটি চালু লাইনের প্রতিটির সঞ্চালন সক্ষমতা ২০০০ মেগাওয়াট।
নিউক্লিয়ার পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জায়েদুল হাছান বলেন, “এই সঞ্চালন লাইন দিয়ে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও প্রয়োজনে সংগ্রহ—দুই-ই সম্ভব হবে। এখন পর্যন্ত যে কাজ সম্পন্ন হয়েছে, তা ফিজিক্যাল স্টার্টআপ শুরুর জন্য যথেষ্ট।”
প্রকল্পের নবনিযুক্ত পরিচালক ড. কবীর হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
গত ৩ মে জ্বালানী উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান রূপপুর কেন্দ্র পরিদর্শন করে পিজিসিবি ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৩০ মে’র মধ্যে সঞ্চালন লাইনের কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হওয়ায় প্রকল্পের গতি ও বাস্তবায়ন নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে সন্তোষ বিরাজ করছে।