কুলিয়ারচরের আইএফআইসি ব্যাংকে ছয়জন অচেতন: সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেল ঘটনাক্রম

সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে কুলিয়ারচরের ব্যাংকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ার মুহূর্ত।
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে আইএফআইসি ব্যাংকের একটি উপশাখায় ছয়জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী একযোগে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। রোববার (১ জুন) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ আজ সোমবার ব্যাংকের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে, যা থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে।
ফুটেজে দেখা যায়, বেলা একটার কিছু আগে কয়েকজন গ্রাহক লেনদেন শেষে ব্যাংক ত্যাগ করেন। এরপর হঠাৎ হিসাব বিভাগের কর্মী হোসনা রহমান বমি করতে করতে পড়ে যান। ধীরে ধীরে আরও পাঁচজন, যাঁদের মধ্যে দুজন নারী, একে একে অচেতন হয়ে পড়েন। কেউ কেউ বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করলেও শাখা ব্যবস্থাপকসহ দুজন চেয়ার থেকে উঠতে পারেননি।
নিরাপত্তাকর্মী কামাল হোসেন তুলনামূলকভাবে সচেতন ছিলেন। তিনি টেলিফোন ধরতে গিয়ে ব্যর্থ হন এবং একপর্যায়ে কাচ ভেঙে ফেলেন। একজন গ্রাহক প্রবেশ করলে তিনি কথা বলার চেষ্টা করেন। পরে ভবনের আরেক নিরাপত্তাকর্মী জুয়েল মিয়া এসে সবার সহায়তায় অসুস্থদের বাইরে নিয়ে আসেন।
ভৈরব-কুলিয়ারচর সার্কেলের এএসপি নাজমুস সাকিব ও কুলিয়ারচর থানার ওসি হেলাল উদ্দিন জানান, এটি নাশকতা বা ডাকাতির ঘটনা নয়। ব্যাংকের অর্থ ও ভল্ট অক্ষত রয়েছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, ব্যাংকের ভেতরে থাকা একটি বন্ধ ঘরে রাখা জেনারেটর থেকে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হয়েছিল, যা দুর্ঘটনার সময় চার ঘণ্টা চালু ছিল।
সিআইডির ক্রাইম টিম ঘটনাস্থল থেকে খাবার, পানি, চা ও বমির নমুনা সংগ্রহ করেছে। ফায়ার সার্ভিসও নিঃসৃত গ্যাসের ধরন নির্ণয়ে কাজ করছে।
শাখা ব্যবস্থাপক সৌমিক জামান বলেন, ‘‘মাথা ঘোরার পর আর কিছু মনে নেই। কেউ স্প্রে করেছে—এমন কিছু চোখে পড়েনি।’’
বর্তমানে ছয়জনই জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ব্যাংকের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রেখে আজ সোমবার থেকে বিকল্প জনবল দিয়ে আবার চালু করা হয়েছে।