রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছ থেকে পুরস্কার নিতে লন্ডন যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস (ফাইল ফটো)
বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লস ‘কিং চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’-এর জন্য মনোনীত করেছেন। সমাজ, প্রকৃতি ও পরিবেশের মধ্যে সঙ্গতিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিতকরণ এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে তাঁর অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে।
এই উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ১০ থেকে ১৩ জুন একটি দ্বিপাক্ষিক সফরে যুক্তরাজ্য সফর করবেন। সফরকালে তাঁর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের একটি বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন বিষয়ক সেক্রেটারি অব স্টেট ডেভিড ল্যামি, গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা ও থিংক ট্যাঙ্ক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
বুধবার (৪ জুন) রাজধানীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, “মানুষ, প্রকৃতি ও পরিবেশের সহাবস্থান ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার প্রচেষ্টা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। রাজা তৃতীয় চার্লস তাঁকে ২০২৫ সালের ‘কিং চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ প্রদানের জন্য মনোনীত করেছেন।”
আগামী ১২ জুন লন্ডনের ঐতিহাসিক সেন্ট জেমস’স প্যালেসে এক জমকালো অনুষ্ঠানে রাজা চার্লস স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সচিব আরও বলেন, “এই সফর বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যকার ঐতিহ্যবাহী সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে আরও উজ্জ্বল করবে, অর্থনৈতিক সম্পর্ককে বেগবান করবে এবং চলমান গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক সমর্থন অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।”
উল্লেখ্য, রাজা তৃতীয় চার্লস (সাবেক প্রিন্স অব ওয়েলস) ১৯৯০ সালে ‘দ্য কিংস ফাউন্ডেশন’ নামে যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি দাতব্য সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংস্থা থেকেই প্রতিবছর পরিবেশ, শান্তি ও সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা ব্যক্তিদের এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। গত বছর (২০২৪ সালে) জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুন এই পুরস্কার পান।
এছাড়াও, এটি হবে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁর প্রথম ইউরোপ সফর এবং প্রথম কোনো দ্বিপাক্ষিক রাষ্ট্রীয় সফর।