পুলিশের তল্লাশিতে ধরা জামিনপ্রাপ্ত ডাকাতচক্র

ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার তিন যুবক। আজ বুধবার কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের প্রাঙ্গণে ।
বিকেলে জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন মাত্র রাতেই ডাকাতির উদ্দেশ্যে রওনা করেন। তবে শেষরক্ষা হয়নি, কুমিল্লা নগরীর টমছমব্রিজ এলাকায় পুলিশের তল্লাশিচৌকিতে ধরা পড়েছেন আগ্নেয়াস্ত্রসহ তিন যুবক। পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তারকৃত তিনজনের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে রয়েছে ৪০টি, অপর দু’জনের বিরুদ্ধে রয়েছে ১৬ ও ১৪টি মামলা।
বুধবার (৪ জুন) দুপুরে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমেদ খাঁন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান রিয়াদ ও সোহাগ নামে দুই আসামি। তাঁদের সঙ্গে ডাকাতির প্রস্তুতিতে যুক্ত হন মাসখানেক আগে জামিন পাওয়া আরও একজন—৪০ মামলার আসামি খায়রুল হাসান। এ চক্রটি কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে পশুর হাটে গরু ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের টার্গেট করছিল।
মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা নগরের টমছমব্রিজ এলাকায় পদুয়ার বাজারমুখী একটি সিএনজি অটোরিকশাকে থামার সংকেত দেয় পুলিশের একটি তল্লাশিচৌকি। এ সময় অটোরিকশায় থাকা খায়রুল হাসান পুলিশ লক্ষ্য করে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করেন। তাৎক্ষণিকভাবে ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. খাজু মিয়া অটোরিকশাটি ঘেরাও করে খায়রুলকে জাপটে ধরেন এবং অন্যদের সহায়তায় রিয়াদ ও সোহাগকেও আটক করা হয়। তবে চালকসহ আরও দুই যুবক পালিয়ে যায়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন: খায়রুল হাসান (৩০) – শ্রীবল্লবপুর, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ (৪০ মামলা), মোহাম্মদ রকিবুল হাসান ওরফে রিয়াদ (২৮) – বাহুরূপা, কুমিল্লা আদর্শ সদর (১৬ মামলা), মো. সোহাগ মোল্লা (৩৫) – নয়াকান্দি, মতলব, চাঁদপুর (১৪ মামলা)
তাঁদের বিরুদ্ধে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, ডাকাতি, অস্ত্র, মাদক, ছিনতাইসহ একাধিক অভিযোগে মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, তাঁদের কাছ থেকে একটি রিভলবার ও দুটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় অস্ত্র ও ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করে তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের চলাচল নজরে রাখা হচ্ছে এবং প্রতিটি পশুর হাটের আশপাশে নিয়মিত তল্লাশিচৌকি বসানো হচ্ছে।