দিনাজপুরে গৃহবধূর গায়ে রাসায়নিক নিক্ষেপ, চাচাতো ভাশুর আটক

দিনাজপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গৃহবধূর গায়ে রাসায়নিক নিক্ষেপ, গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি; অভিযুক্ত চাচাতো ভাশুর আটক।
দিনাজপুর সদর উপজেলার দিঘন এলাকায় সোহানা আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূর গায়ে রাসায়নিক পদার্থ নিক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে নিজ বাড়ির রান্নাঘরে কাজ করার সময় জানালার ফাঁক দিয়ে ওই পদার্থ নিক্ষেপ করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর চাচাতো ভাশুর গোলাম রাব্বানী (৪০) কে আটক করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী সোহানা আক্তার শামীম পারভেজের স্ত্রী এবং অভিযুক্ত রাব্বানী একই এলাকার আবদুল খালেকের ছেলে। বর্তমানে সোহানা দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোহানা ও তাঁর স্বজনরা জানান, কয়েক দিন আগে পুকুর খননকে কেন্দ্র করে শামীম পারভেজের সঙ্গে গোলাম রাব্বানীর বিরোধ হয়। এরপর রাব্বানী সোহানার তিনটি ছাগল ধরে নিয়ে গিয়ে নিজের বাড়িতে আটকে রাখেন। ছাগল ফেরত চাইলে তিনি সোহানাকে মারধর করেন। এরপর সোহানা ৯৯৯–এ ফোন করে এবং কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
সোহানা বলেন, “রাত সাড়ে আটটার দিকে রান্নাঘরে কাজ করছিলাম। হঠাৎ জানালা দিয়ে কিছু একটা এসে পড়ে গলার নিচে। সঙ্গে সঙ্গে জ্বালাপোড়া শুরু হয়। পরিবারের লোকজন এসে পানি দেয়। রাত সাড়ে দশটার দিকে স্বামী হাসপাতালে নিয়ে যান।”
তিনি অভিযোগ করেন, জমিজমা সংক্রান্ত পুরোনো বিরোধের জেরেই পরিকল্পিতভাবে তাঁর ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপ করা হয়েছে।
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. আবদুস সালাম জানান, সোহানার গলা থেকে বুক পর্যন্ত আনুমানিক ৯ শতাংশ পুড়ে গেছে, তবে তিনি আশঙ্কামুক্ত।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মতিউর রহমান বলেন, “দুই পরিবারের মধ্যে পুরোনো বিরোধ ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে। অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে, আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।”
তিনি আরও জানান, জরুরি সেবায় কল করেও প্রতিকার না পাওয়ার অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে এবং দায়িত্বে অবহেলা পেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।